চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শিক্ষাবিদ রেবতী রঞ্জনের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট 4TV : শনিবার (২৩ জুন) বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষাবিদ রেবতী রঞ্জন বাড়ইয়ের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে তাঁর গ্রামের বাড়িতে প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও নিরবতার মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকাল ৩টায় আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তৃতা রাখেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে বাগেরহাট-১ থেকে নির্বাচন করেন এবং সেই নির্বাচনের কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেবতী রঞ্জন বাড়ই । ২৩ জুন ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করছিলেন, ঠিক সেই সময় বিকাল ৪:৪৫ মিনিটে রেবতী রঞ্জন না ফেরার দেশে চলে যান। তাঁর দুই পুত্র ও পাঁচ কন্যা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছেন। রামচরন বাড়ই ও বিশাখা দেবীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন রেবতী রঞ্জন বাড়ই। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৪ নভেম্বর ততকালীন বাগেরহাট মহাকুমার কচুয়া থানাধিন বলেশ্বর নদী বিধৌত চরবানিয়ারী গ্রামের এক মধ্যবিত্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন একজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষ এবং মা ছিলেন একজন মহিয়সী নারী।
বক্তারা বলেন, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি প্রথম চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। তিনি জনদরদি ও মিষ্টভাষী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবাবে নির্মম ভাবে হত্যার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন যার ফলে ততকালিন বিএনপি সারকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান রেবতী বাবুকে ডিটেনশন দিয়ে জেলে পাঠায় তিনি দীর্ঘদিন যশোর ও খুলনা জেলে রাজবন্দী হিসেবে ছিলেন । তার জেল খানায় বসে লেখা ডাইরি থেকে জানা যায় যে তাকে যখন যশোর জেলে নেওয়া হয় তখন ওখানে তার গায়ে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করা হতো । জেল থেকে মুক্তির পর তিনি, মল্লিক সিরাজুল হক, শেখ রোকন উদ্দিন , গিয়াস উদ্দিন সহ বেশ কয়েক জন মিলে চিতলমারী থানা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চিতলমারী থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।