ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চার লেন রাস্তার কাজ শুরু
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশের চার লেন রাস্তার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাস্তার নকশা তৈরি শুরু হয়েছে। এতে রাস্তার জমি অধিগ্রহণ এবং সরকারি জায়গাতে যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে তাতে রাস্তার বাঁকগুলোতে আরো বাঁকের সৃষ্টি হবে বলে অভিযোগ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ হচ্ছে। বিশেজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনা প্রবণ রাস্তার ব্ল্যাকস্পটগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা প্রস্তুত করা দরকার।সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়া রংপুর হাইওয়ে চার লেনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নকশার কাজে দুর্ঘটনা প্রবণ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর বাজার, শেরুয়া বটতলা, ছনাকা, শাজাহানপুরে নয় মাইল বাজার, টিএমএসএস সিএনজি পাম্পসহ কয়েকটি মোড়ে প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে আরো বাঁকের সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোকে দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ নজর দিয়ে নকশা তৈরি করার দাবি বগুড়াবাসীর।
এলাকাবাসীরা জানান, 'রাস্তা বাঁকা। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়তে। এর থেকে আমরা জনগণ মুক্তি পেতে চায়।'
বাঁকের স্পটগুলোতে দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে তা থেকে রেহাই পেতে চার লেনের রাস্তায় নকশার ওপর গুরত্ব দেয়া প্রয়োজন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতাদের মতে, কোন বিশেষ গোষ্ঠি বা প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষা না করে নির্ভুল নকশা হওয়া দরকার।
বগুড়ার নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, 'অ্যালামনাই অনুযায়ী রাস্তাটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যেটির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।'
বগুড়া অঞ্চল ( রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ) হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'শুধু আকাঁবাকা মোড় নয়,থ্রি-হুইলার চলাচল এবং রাস্তার মাঝে ডিভাইডার তৈরিসহ রাস্তার উপর হাটবাজার বসার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা তৈরি করা দরকার।'
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টাঙ্গাইল জেলার এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০.৪ কিলোমিটার চারলেন উন্নীত করতে খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অর্থ যোগান দিচ্ছে।