৮ জনকে আসামি করে দেয়া হচ্ছে গুলশান হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট।
ঘটনার দুই বছরের মাথায় ৮ জনকে আসামি করে দেয়া হচ্ছে গুলশান হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তে ২১ জনের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলেও ঘটনার সময় ৫ জন এবং পরে বিভিন্ন অভিযানে ৮ জন মারা যাওয়ায় চার্জশিটে তাদের নাম থাকলেও অভিযোগ থেকে বাদ পড়ছে। চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামির মধ্যে গ্রেফতার আছে ছয়জন। পলাতক রয়েছেন ২ জন। এদিকে, র্যাব মহাপরিচালক বলছেন, গেলো দুই বছরে জঙ্গিরা কোণঠাসা হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না তারা।দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। দেশি বিদেশি ২২ জন মানুষের মৃত্যু শোকে বিহ্বল করে দেয় গোটা দেশকে।
ঘটনার দুই বছরের মাথায় মামলার চার্জশিট জমা দিতে যাচ্ছে পুলিশ। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলছে, তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ৩৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন অভিযানে মারা গেছে। অভিযোগপত্র থেকে তাদের অব্যাহতি দিলেও কার কি ভূমিকা ছিলো- তা লেখা থাকবে চার্জশিটে। যে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে সোহেল মাহফুজ, বাশারুজ্জামান চকলেট, রাজিব গান্ধী, বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও রাশেদুজ্জামান ওরফে র্যাশ গ্রেফতার রয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে তারা। আর রিপন ও খালিদ নামে দুজন পলাতক রয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজমের একটি সূত্র বলছে, এদের মধ্যে রিগ্যান ও রাজিব গান্ধী হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ। বড় মিজান ও সোহেল মাহফুজের বিরুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ ও র্যাশের বিরুদ্ধে হামলা বাস্তবায়নের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আটজনের মধ্যে বিরুদ্ধে আমরা পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এদের মধ্যে দুই জন পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট প্রদান করতে যাচ্ছি।