পিবিআই পরিদর্শক কে উৎকোচ না দেয়ায় মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি 4TV :
মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার কালীনগর গ্রামের মানব পাচার ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক মোঃ হেলালুর ইসলাম (নি:) বাদীর নিকট থেকে বড় অংকের উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসামি পক্ষ তার দাবিকৃত উৎকোচ না দেয়ায় কালীনগর গ্রামরের প্রবাসি কামাল মিয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট মানব পাচার অপরাধ দমন ট্র্যইব্যুনাল হবিগঞ্জ আদালতে দাখিল করেছেন বলে বাদী পক্ষ দাবি করেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার শতক গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী রেবা বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার কালীনগর গ্রামের প্রবাসি কামাল মিয়া সহ তার পিতা, মাতা, ভাই ও আতœীয় স্বজন সহ সাতজনকে আসামি করে তার মেয়ে সিফা বেগমকে বিদেশ পাচারের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নিদের্শ দেন। পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলালুর ইসলাম (নি:) বাদী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জিজ্ঞেস না করে শুধু বাদী ও তার আতœীয় স্বজনের স্বাক্ষী নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত রিপোর্টে সিফা বেগমকে বিদেশ পাচারের কাগজপত্র বাদীর নিকট না চেয়ে আসামী পক্ষের নিকট চাওয়া হয়। মামলার কোন আলামতও তিনি জব্দ করেননি। ঘটনার ৫ বছর পরে বাদী পক্ষ কেন মামলা করতে গেল এ বিষয়েও সচেতন মহলের মনে প্রশ্ন জেগেছে। মামলার এজাহারে বাদী পক্ষ তার মেয়েকে জিম্মি করা হয়েছে, এমনকি তার মেয়ের রোজগারের টাকা ও স্বর্ণ অলংকার কামাল মিয়া নিয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। বিদেশ সিফা বেগম জিম্মি হয়ে থাকলে কিভাবে টাকা পয়সা রোজগার করে এবং বাড়িতে তার পরিবারের সাথে কথা বলে এ বিষয়েও জন মনে প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘ ৫ (পাচঁ) এর মধ্যে কামাল মিয়া দুই বার দেশে এসেছে, এর মধ্যে কেন মেয়েকে উদ্ধারের জন্য মামলা করা হয়নি। এ বিষয়টি ও সচেতন মহলের কাছে মনে সন্ধেহ জেগেছে। সরেজমিন তদন্তে ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুর রহমান মুকুল ও ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহবুব আলী নুরু জানান, সিফা বেগমের বিদেশ পাচারের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না ঘটনাটি ভিক্তিহীন। জুড়ি উপজেলার ৫ নং জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাসুম রেজা ও মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন প্রবাসি কামাল মিয়া মানব পচাররের মত কোন ঘটনা ঘটায়নি। এখানে একটি স্বার্থান্বেসী মহল রেবা বেগম কে ব্যবহার করে কামাল মিয়ার পিতার নিকট মামলা আপোষের জন্য ১০,০০০০০/= (দশ লক্ষ টাকা) দাবি করেছে। পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা তাদেরকে জিজ্ঞেস না করে কি ভাবে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন সে বিষয় তারা অবাক হয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমানের নিকট প্রতিবেদক তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি বলতে পারবে। সে ভুল করলে আদালতে সে কৈফৎ দিতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলালুল ইসলাম, বিপি-৬৪৮৯০১০২৫২ এর সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭১১-৭৩০৮১৮) যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অসুস্থ্যতার ভান করে এক সপ্তাহ পরে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।