শাহজাদপুর অঞ্চলের কাজলী,ধবলীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে
সাহারুল হক সাচ্চু, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি 4TV
দেশের গো সম্পদের জন্য বিখ্যাত শাহজাদপুর অঞ্চলের বাথানগুলো থেকে এখন সব গরু ফিরে আনা হচ্ছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে বাথান বলে পরিচিত মুক্ত চারণ ভুমি বন্যার পানিতে ডুবতে থাকায় খামারী ও গৃহস্থেরা তাদের গরু গুলো ফিরিয়ে আনছে। এর প্রায় সবই উন্নত জাতের গাভী গরু। আগামী মাস পাচেক সময় কাজলী, মুনমুন, ধবলী, এমন নানা নামের গরুগুলো খামারী ও গৃহস্থদের উচু ভিটে, আঙ্গিনায় লালিত পালিত হবে। এতে খামারী ও গৃহস্থদের গরু লালন পালনে এখন বাড়তি খরচ হবে বলে জানা যায়। উত্তরাঞ্চলের পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৬ উপজেলায় বিপুল সংখ্যক উন্নত জাতের গাভী গরু পালন করা হয়। উন্নত জাতের গাভী গরু লালন পালন হয় এমন উপজেলাগুলো হলো- শাহজাদপুর, উলাপাড়া, বেড়া, সাথিয়া, ফরিদপুর ও ভাংগুড়া। এর মধ্যে শাহজাদপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গরু সম্পদ রয়েছে। এদিকে শাহজাদপুর, ফরিদপুর ও ভাংগুড়া উপজেলা অঞ্চলে প্রায় ৬০টি বড় ছোট গোবাথান আছে। গোবাথান বলতে মুক্ত চারণ ভূমি। কেনাই পাথার, রেশমবাড়ী, আংগারুর বাথানসহ প্রায় তিন হাজার বিঘা জমি বাথান অঞ্চল বলে পরিচিতি পেয়ে আছে। শাহজাদপুর অঞ্চলে প্রায় চার লাখ গরু সম্পদ আছে বলে জানা যায়। এ চারণ ভূমিতে মাসকালাইসহ ঘাসের জমিতে শীত মৌসুমের শুরু থেকেই পরবর্তি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া আগ অবধি বিপুল সংখ্যক গরু বাথানে রেখে লালন পালন করা হয়। শাহজাদপুরসহ পার্শবর্তি অঞ্চলের গোখামারী ও গৃহস্থেরা বাঘাবাড়ী ও মোহনপুর মিল্কভিটায় তাদের দুধ বিক্রি করে থাকে। এর পাশাপাশি প্রাণ, আড়ং, ফার্মফ্রেশসহ আরো কয়টি প্রতিষ্ঠান দুধ সরবরাহ নেয়। মিল্কভিটা তাদের সমিতির মাধ্যমে দুধ সরবরাহ নিয়ে থাকে। প্রতিবছরের মতো এবারেও বর্ষা মৌসুমে বাথানগুলো বন্যার পানিতে ডুবতে থাকায় গরুগুলো বাথান থেকে ফিরে আনা হচ্ছে।