৩'শ সংসদীয় অাসনে অা'লীগের প্রার্থিতায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা : সবায় মনোনয়ন প্রাপ্ত বলে অাগাম প্রচারে"
সদরুল অাইন 4TV
একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে অাসছে, প্রতিটি অাসনে অা'লীগের একাধিক প্রার্থিদের মধ্যে দুরত্ব ততই বাড়ছে। এসব কথিত প্রার্থিদের এলাকার লোকজন না চিনলেও তারা দলটির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে ভোটারদের বিভক্তিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।পরিচিত বা নাম পরিচিয়হীন সকল প্রার্থিরাই প্রধানমন্ত্রী কতৃক মনোনয়ন প্রাপ্ত বা সবুজ সংকেত প্রাপ্ত বলে শো'ডাউন ও সভা-সমাবেশে প্রচার করছে।
কোন কোন অাসনে এমনও প্রচার রয়েছে যে, শেখ হাসিনা ফোন করে তাকে মনোনয়ন দিয়ে দিয়েছেন। অাগামি মাসে প্রধানমন্ত্রী ফোন করে প্রার্থিতার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন, এমন প্রচারনাও চালাচ্ছেন অনেক অাসনের প্রার্থি ও তাদের অনুসারিরা।
দেশের সংসদীয় ৩'শ অাসনের বর্তমান চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রতিটি অাসনে দলটিতে ৩ থেকে ১২ জন প্রার্থি রয়েছে। এদের মধ্য অনেকের নাম পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা জানেন না।কিন্তু স্থানীয় সাংবাদিকদের হাত করে সংবাদপত্র, ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তারা সরোব প্রচারণা চালাচ্ছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, কোন কোন অাসনে বর্তমান অা'লীগের সাংসদ, এমপি পুত্র ও অন্যান্য প্রার্থিরা কেন্দ্রের অমুক নেতাকে ২'শ কোটি বা বিভিন্ন অংকের টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন এবং কেন্দ্রিয় প্রভাবশালী এসব নেতাদের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী থেকে তাদের ভাগের প্রাপ্ত অাসন থেকে টাকার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট অাসন কিনে নেওয়া হয়েছে বলেও জনগনের কাছে প্রচার করা হচ্ছে। কোন কোন অাসনের সম্ভাব্য পপ্রার্থএিরা ককেন্দস্রবিয় শীর্ষ নেতাদের না পর্যন্ত প্রচার করছে যে তারা টাকার বিনিময়ে তাদের মনোনয়ন পাইয়ে দেবেন।এসব অপ-প্রচারণার কারনে একদিকে ত্যাগী সৎ জনপ্রিয় নেতারা যেমন অাতঙ্কিত অপরদিকে জনমনে বিভ্রান্তি ও বিভক্তি প্রকট অাকার ধারন করছে।যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অাসন্ন সংসদ নির্বাচনে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
প্রতিটি অাসনে দলটিতে একাধিক প্রার্থি মনোনয়ন প্রত্যাশার পিছনে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, অা'লীগের জনপ্রিয় নেতাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ি, বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, এলাকার গড-ফাদারসহ এমনকি জনপ্রিয়তা হারানো বর্তমান এমপিরা পর্যন্ত মনে করছেন, অাসন্ন সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার অাবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অাসীন হবেন।কাজেই যত টাকাই লাগুক না কেন, কেন্দ্রিয় নেতাদের হাত করে নৌকার টিকেট অানতে পারলে নিশ্চিত এমপি হওয়া যাবে।
এ কারনে নাম পরিচয়হীন ব্যক্তিরাও এবার নৌকার টিকেট প্রাপ্তিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা প্রচার মাধ্যমগুলোতে অঢেল টাকা ঢালছেন।এরা কেন্দ্র ও জনমনে নিজেদের জনপ্রিয়তার মিথ্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছেন।এ কাজে তারা সম্পৃক্ত করছেন এলাকার তরুণ বেকার যুব সমাজকে তাদের প্রচারণার কাজে।
জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি অাসনে উঠতি নবাগত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কারনে অনেকটাই কোন ঠাঁসা দলটির ত্যাগী জনপ্রিয় প্রার্থিরা। এসব নবাগত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কারনে প্রকৃত জনপ্রিয় ও যারা জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন এবং নৌকার টিকেট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ কাজ করছে কেন্দ্রের উদাসীনতার কারনে।
সরকারের গোয়েন্দা দফতরসমুহ এ ব্যাপারে অবহিত থাকলেও কেন্দ্র থেকে এদের দমন বা নিরুৎসাহীত করা হয়নি এখন পর্যন্ত। ফলে মনোনয়ন অাশংকা বুকে নিয়ে এসব নাম পরিচয়হীন প্রার্থিদের মিথ্যে প্রচারণা নিরবে মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে অধিকাংশ অাসনের জনপ্রিয় প্রার্থিদেরকে।
তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে কেন্দ্রের নিরবতায়।