গাইবান্ধায় প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিং'এ অতিষ্ঠ জনজীবন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার জনজীবন। টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের ফুলকির মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। শিশু ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নেতিয়ে পড়ছে গাছ ও গুল্মলতা। প্রাণিকুলও বিপর্যস্ত।
গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি না হয়ে তীব্র গরম আর অসহনীয় তাপমাত্রার কারণে দিনের বেলায় শহরে লোকজনের চলাচল অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম।
কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে কান্ত হয়ে পড়ছেন। ক্লান্তি দূর করতে কেউ পান করছেন ডাবের পানি, কেউ বা খাচ্ছেন শসা। তাই প্রচণ্ড গরমে আনারস, ঠাণ্ডা পানীয় আর ডাবের পানি বিক্রি বেড়েছে বহু গুণ। লাচ্ছি জুস আর কোমল পানীয়ের ব্যবসাও বেশ জমজমাট। গরমের সাথে যোগ হয়েছে ডায়রিয়া। হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী তিন-চার দিনেও বৃষ্টির দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এমনকি তাপমাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
এদিকে অতিরিক্ত গরমের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়া হচ্ছে। এমন অবস্থা যে, ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা: শফিকুল ইসলাম গরমে সবাইকে প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সুস্থ থাকতে হলে রাস্তার ধারে ফুটপাথে খোলা জায়গায় বিক্রি করা শসা, আখের রস, আনারস, লেবুব শরবতসহ সব ধরনের খোলাপানীয় পান থেকে বিরত থাকতে হবে। গরমে বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, ঘরের পরিবেশ যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা রাখা গেলে ডায়রিয়া ও শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
এ ছাড়া গরমে শিশুদের বেশ সাবধানে রাখতে হবে। রোদে যাতে বেশি ঘোরাঘুরি না করে তা দেখতে হবে। ঘেমে গেলে শরীর মুছে দিতে হবে। অধিক ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার অথবা হালকা ঠাণ্ডা পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি সুতির হালকা কাপড় পরতে হবে।