নওগাঁর নিয়ামতপুরে সরকারী হাটের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মান
নওগঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের পাইকড়া হাটের সরকারী জায়গা দখর করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মান করেছে এলাকার ব্যক্তিরা।
এতে হাটের জায়গা কমে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায় কিছু দিন আগে উক্ত হাটের ইজারদার ধর্শপুর গ্রামের হামেদ মোলার ছেলে আইজুল ইসলাম নিজেই অবৈধভাবে হাটের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মান শুরু করে।
এতে এলাকাবাসী ক্ষদ্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোঃ মাহফুজুল আলম সরেজমিনে তদন্ত করে অবৈধভাবে ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। তখন আইজুল ইসলাম চান্দিনা ভিটির সনদের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করলে জেলা প্রশাসক তা অনুমোদন দেন।
এতে আইজুল ইসলাম অবৈধ দোকান ঘর নির্মান বৈধতা পেলে পুনরায় দোকান ঘর নির্মান শুরু করে। এত এলাকার কিছু ব্যক্তি ক্ষুদ্ধ হয়ে জিনপুর গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে ছাদেকুল ইসলাম ও পাইকড়া গ্রামের জলিল বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন তারই পাশে অবৈধভাবে সরকারী হাটের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মান শুরু করে।
গত সোমবার সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়, হাটের পশ্চিম দিক দিয়ে গাবতলী-ছাতড়া পাকা রাস্তা রয়েছে। রাস্তার পাশে হাটের জায়গার উপর পূর্বেই তিনটি অবৈধভাবে পাকা দোকান গর নির্মান রয়েছে। এর পর তারই পিছনে পূর্ব দিক পুকুরের পশ্চিমে প্রথমে আইজুলএরপর আলমগীর ও তারপর ছাদেকুল দোকান ঘর নির্মান করেছে।
এসব দোকানঘর নির্মানের ফলে হাটের জায়গা সংকোচিত হয়েছে। ফলে হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতাকে জায়গার অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া হাটের উন্নয়ন কাজেও বিঘিœত হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় লোকজন হাটের জায়গা আরো দখল করা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। যদি এদের উচ্ছেদ করা না হয় তাহলে হাটের সমস্ত জায়গায় দখল হয়ে যাবে। হাটের টোল আদায়কারী আবুল কাশেম বলেন, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে চলবে কি করে।
আইজুল ইসলামকে হাটের লিজ দিয়েছে। অথচ সেই প্রথমে হাটের জায়গা অবৈধ দখল শুরু করেছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও শুরু করেছে। এখনি যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে তহবাজার বসার মত আর জায়গা থাকবে না। অত্র ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক বলেন, আমার নিকট কেউ অভিযোগ নিয়ে আসে নাই। তারপরেও আমি শুনেছি।
আমি শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে অবহিত করেছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আর আমি প্রায় ৮দিন যাবত এলাকার বাইরে ঢাকায় অবস্থান করছি।ধ এ বিষয়ে অবৈধভাবে হাটের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মানকারী ছাদেকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি বহুদিন যাবত সপ্তাহে ্একদিন (হাটের দিন) একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে আলু বিক্রি করি। কিন্তু আইজুল ঘর করা শুরু করলে অন্যরাও আমার জায়গা দখলের চেষ্টা করে।
আমি নিরূপায় হয়ে আমার জায়গাটুকু টিন দিয়ে ঘিরে দখল করে রেখেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসাঃ আফরোজ খাতুন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। আমার সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে প্রতিবদন তৈরী করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। যাবা অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মান করছে তাদের ঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটীশ প্রদান করা হবে। তারপরেও যদি তারা তাদের অবৈধ দোকানঘর সরিয়ে না নেই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের মামলা দায়ের করবো।