
Navigation

Dhaka Radio
Rajshahi Radio
Khulna
Chitagram



টঙ্গীতে কলেজ সংসদে ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ--- টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদে ঢুকিয়ে রাকিব (১৭) নামে এক ছাত্রকে বেধরক মারধোরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিরাজুর রহমান রায়হানের বিরুদ্ধে। গত বুধবার বিকেলে কলেজ ছাত্র সংসদে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাকিব পার্শ্ববর্তী একটি কলেজের অধ্যায়নরত আছেন। ভুক্তভোগী ছাত্র রাকিব জানায়, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে বুধবার বিকেল টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজুল রহমান রায়হানের নেতৃত্বে রবিউল, নিশান, শান্ত, নাঈম, মাজাহারুল, সিয়ামসহ আরো অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী সফিউদ্দিন একাডেমীর সামনে থেকে তাকে জোড় করে টঙ্গী কলেজের ছাত্র সংসদে নিয়ে যায়। এসময় ছাত্র সংসদের বাহির থেকে তালা বন্ধ করে দেয় তারা। পরে সংসদের ভিতরে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধরক মারধর করে মিরাজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাকে কলেজ থেকে বের করে দেয় মিরাজ। পরে সহপাঠীদের সহয়াতায় টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করি। এর আগেও স্বাধীন নামে এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মিরাজুর রহমান রায়হানের বিরুদ্ধে। একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মে জড়িয়ে আলোচনায় ছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হান উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, সে একজন ছিনতাইকারী ছিনতাইকালে ছোট ভাইরা মেরেছে আমি মারি নাই। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান বলেন, টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ইচ্ছে করলেই কেউ টর্চার সেল তৈরি করতে পারবে না। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে মিরাজুর রহমান রায়হান যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বাঘায় সন্ত্রাসী মিলনের বিচারের দাবিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদয়ের মানববন্ধন।
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ--- রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামে মিলন নামে স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ওই এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার সর্বস্থরের জনগন ওই মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় তারা সন্ত্রাসী মিলনের বিচারের দাবীতে বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন। এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী মিলন এলাকায় আম, কলা, খরিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করে দেয়। এলাকার সব রকম অপকর্ম সে করে বেড়ায়। কেউ দেখলে বা বাধা দিলে তাকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বিধবা মহিলা নিয়তি রাণী তার অপকর্ম দেখে ফেললে মিলন তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে সে মহিলার গলায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র ধরে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এসময় মহিলা চিৎকার করলে মিলন তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সে বিধবা মহিলাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নিয়তি রাণীকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন। ভুক্তভোগি নিয়তি রানি বলেন, আমি সবজী ক্ষেতে কাজ করার সময় মিলন জোর করে ক্ষেতের সবজী (খেসারি) তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিতে গেলে সে আমাকে মারধর করে আমার গলায় দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) ঠেকিয়ে হত্যা করার ভয় দেখায়। আমি চিৎকার করলে সে আমাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আসামী মিলন বলেন আমি তাকে মারিনি। শুধু হাসুয়াটা কেড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছি।