প্রত্যাশা পূরণে রংপুরের সব আসন ফিরে পেতে চায় জাপা
রংপুর নিয়ে গৌরবে যে ভাটির টান, তা ঘোঁচাতে এবার এ অঞ্চলের ২২টি আসনের সব ক’টি ফিরে পেতে চান জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একক বা জোটবদ্ধ নির্বাচন, যেভাবেই হোক প্রত্যাশা পূরণে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি।
৯০-এর তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়ার পর ’৯১-এর নির্বাচনে রংপুরের মানুষের আবেগি ভোটে পাঁচটি আসনে জিতে যান কারাবন্দী এরশাদ। পরবর্তীতেও এলাকার ছাওয়ালের মঙ্গলে লাঙলের বাক্স’ ভরে ভোট দেন এখানকার ভোটাররা।
কিন্তু জাতীয় রাজনীতির নানা সমীকরণ, পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক অভিলাস আর স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে বারবার অসহায় হয়ে পড়েন এক সময়ের সামরিক শাসক এরশাদ। এভাবে খোদ রংপুরের ছয়টি আসনের মাত্র দুটি দখলে এখন, বাকিগুলো আওয়ামী লীগের। পরাজয়ের গ্লানি বয়ে বোধদয়ের অনুতাপ করছেন কেউ কেউ।
জাপার প্রতিমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙা বলেন, 'নিজেদের মাঝে কোন্দল করাটা ঠিক হয়নি। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন আমাদের মাঝে কোনো গ্যাপ নেই।'
তবে আশা-প্রত্যাশার পুরোটাই পুষে রেখেছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।
রংপুর সিটি করপোরেশনের পর সম্প্রতি গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে দুটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে লাঙলের জয়ে দারুণভাবে উজ্জীবিত এরশাদ। বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসন ফিরে পেতে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন সাড়ম্বরে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, 'কে কি আশা করলো, দাবি করলো আমাদের কিছু যায় আসে না। এবার ভোটে রংপুরের মানুষ আমাদের ভোট দেবে এটা আমরা নিশ্চিত।'
একমাত্র এরশাদের আসন ছাড়া প্রায় সব ক’টিতে একাধিক আর প্রভাবশালী অনন্ত দুই নেতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দলের প্রধান এরশাদের এক ভাস্তে আর এক ভাগ্নে।