দেশে ফলের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিনিয়ত চলছে নানা গবেষণা- কৃষকদের উৎসাহিত করতে যত আয়োজন
দেশে ফলের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিনিয়ত চলছে নানা গবেষণা। উদ্ভাবন হচ্ছে উন্নত জাতের ফল। অথচ যথাযথ প্রচারের অভাবে সব জাত কিংবা চাষাবাদ সম্পর্কে জানেন না বেশিরভাগ চাষি। এ অবস্থায় উন্নত জাতের ফল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রান্তিক পর্যায়ে মেলা আয়োজনের তাগিদ দিয়েছেন মঙ্গলবার শেষ হওয়া জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে আসা কৃষি গবেষক ও উদ্যোক্তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে বর্তমানে দেশে ক্ষীরশাপাত, আম্রপালি, ল্যাংড়া, মোহনভোগ, ঝিনুক, আশ্বিনা, সিন্ধু'সহ প্রায় ৭৫টি জাত রয়েছে। এরমধ্যে ব্রুনাই কিং জাতের প্রতিটি আমের ওজন হয় তিন থেকে পাঁচ কেজি। সারাবছরই পাওয়া যায় কাটিমন জাতের আম। অথচ বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে খিরসাপাত, আম্রপলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি'সহ হাতে গোনা কয়েকটি জাত।
রাজধানীর খামারবাড়িতে জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে আমের পাশাপাশি দেখা মিলবে বারোমাসি আমড়া, বিলাতি গাব, করমচা, লটকন'সহ শতাধিক প্রজাতির ফল। প্রদর্শনীর জন্য নানা জাতের ফল আনা হলেও বিক্রি হচ্ছে শুধু প্রচলিত জাতগুলো।
প্রদর্শনীতে উন্নত জাত কেনার সুযোগ না থাকলেও চারা প্রাপ্তি, চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্ক প্রয়োজনীয় ধারণা দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীরা।
এক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী বলেন, মানুষদের আমরা জানাচ্ছি যে এই ফলগুলো বাংলাদেশে হয়। এবং এই গুলো উচ্চ ফলনশীল জাত। এবং আমাদের অন্য সব টেকনোলজিগুলো মানুষকে দেখাচ্ছি। এর ফলে এই কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এসে এইগুলো সংগ্রহ যাতে করতে পারে।
বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন ফলের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৫০ লাখ টন।