আইনজীবী লালসার শিকার হয়ে হারাতে হলো শেষ সম্ভল বিধবার মমিনা বেগম॥
রবিউল ইসলাম ঢাকাঃ বিধবার ভিটে মাটি,বসত ঘর কৌশলে দখলের অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট আদালতের আইনজীবী আবিদা সুলতানার বিারুদ্ধে। বসত ঘর ফিরে পেতে মামলা করে আদালতের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরেও কোনো ফল পাচ্ছেন না বিধবা মমিনা বেগম (৬৫)। মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মৃত ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী বিধবা মমিনা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীর বাপ-দাদার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। তাদের বসত বাড়ির পশ্চিম পাশে রয়েছে একটি ছোট রাস্ত। যা প্রতিবেশিরা যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতো। ২০০৭ সালে সেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় আইনজীবী আবিদা সুলতানার স্বামী আবুল কালাম আজাদ (বিপ্লব)।
নিরুপায় হয়ে প্রতিবেশিদের পক্ষে মাসুদ রানা বাদি হয়ে রাস্তার জন্য আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় আদালতের দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই এলাকার সব ভূমি মালিকদের কাগজপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু কৌশলী আইনজীবী আবিদা সুলতানা বিধবা’র নামিয় নোটিশটি গায়েব করেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই মামলার শুনানিতে বিধবা গড়হাজিরা থাকায় তাদের অনুপস্থিতি তার বসত বাড়িসহ ৩৫ শতাংশ সম্পত্তির পূর্ব পাশে রাস্তা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে ওই সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র দায়ের করে আইনজীবী আবিদা বিধবার ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি নিজেদের দখলে নেন বলে অভিযোগ বিধবার পরিবার ও স্থানীয়দের। আদালতের ওই রায়ের প্রেক্ষিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী আবিদা সুলতানা বিধবার বসত ঘর ভেঙে দিয়ে জমিটা দখলে নিয়ে তৈরি করছেন আলিসান ভবন।স্থানীয় রফিকুল ইসলাম (৭০) ও হাফিজ উদ্দিন (৬৫) জানান, জন্মের পর থেকে দেখে আসছি ময়েন উদ্দিনরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছে। বিধবার কেউ না থাকার সুযোগে আবিদারা জোর করে বসত বাড়ি ভেঙে দিয়ে বিধবাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। তারাও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দাবি জানান।এ দিকে বসত ঘরসহ সম্পত্তি ফিরে পেতে ওই এক তরফা রায়ের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট আদালতে আপিল কেস নং (৯২/১৬) দাায়ের করেন বৃদ্ধা মমিনা বেগম। স্বামীর ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন বৃদ্ধা। বিধবা মমিনা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একা হয়ে যান। এ সুযোগে আইনজীবী আবিদা কৌশল করে আদালতে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে এক তরফা রায় নেয় এবং ঘর বাড়ি ভেঙে দিয়ে জমি দখল করে নেয়। তিনি তার স্বামীর সম্পত্তি ফিরে পেতে সরকারের উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।লালমনিরহাট আদালতের আইনজীবী আবিদা সুলতানা দৈনিক আমার সময়,দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ,নিউজ লাইন৭১, ননধৎঃধ২৪.হবঃ ও কে মুঠোফোনে বলেন, বিধবা মমিনার জমি দখল করা হয়নি। আদালত রায় দিয়েছেন তাই আমি ভবন করছি। বিধবা জমি পাবে, তবে ওই খানে নয়। তার জমি অন্যরা ভোগ করছে।এবিষয়ে ৬ নং গোড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল ইসলাম ক্রাইমপেট্রোল বিডি কে মুঠোফোনে জানান, আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না। তবে যদি কেউ আসে তাকে আইনি অধিকারে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু, ভুক্তভোগী বিধবা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান সব জানেন।লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আকমল হোসেন বলেন, মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করলে বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখা যেতে পারে।তবে আমরা আদলতের উপর নিরবর সিল