ছাতকে আইপিএল নামের জুয়ায় যুবসমাজ ধ্বংসে পথে
চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) Channel 4TV :
ছাতকে আইপিএল ক্রিকেট খেলা ননামে জুয়া খেলায় ক্রমশঃ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে উপজেলার সিংহভাগ যুবসমাজ। এখানে আইপিএল ক্রিকেটে জুয়া খেলা যেন সর্বত্র অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। জানা যায়, ১৩ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলার সর্বত্রই এখন আইপিএল ক্রিকেটের নামে জুয়া খেলায় ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট, কোর্ট রাস্তা, মিনি মার্কেট, মোগলপাড়া, মন্ডলীভোগ, মধ্যবাজার, নোয়ারাই, রেল কলোনী, লাফার্জ বাজার, ওয়াপদার সম্মূখ, হাসপাতাল রোড, আকিজবাজার, পোষ্ট অফিসের সম্মূখসহ থানা কমপ্লেক্সের আশপাশের চায়ের দোকানে আইপিএল খেলার প্রতি ওভারে রানের উপর ও বলে বলে ধরা হচ্ছে টাকার বাজি। এভাবে প্রতি গেইমে কোন দল জিতবে এনিয়ে ধরা হচ্ছে বড় অঙ্কের টাকা। এভাবে প্রতি খেলায় প্রায় কোটি টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ারলীগ (আইপিএল) হলো সর্বোচ্চ বাজেটের একটি ক্রিকেট লীগ। এ খেলায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের সব নামী-দামী খেলোয়াড়। কিন্তু আইপিএল খেলা চলাকালে জুয়ার নেশায় মেতে উঠেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বেকার যুবক, রিক্সা-ভ্যান চালক, গাড়ীর স্টাফ, দোকান কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শেণী ও পেশার লোকজন। পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান, অফিস, বাসা-বাড়ি এমনকি যেখানেই টিভি সেখানেই চলছে বাজিধরা। প্রতি খেলায় প্রায় কোটি টাকার জুয়া খেলা চললেও দু’ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এখনো বাজির টাকা নিয়ে কোন বিচার-সালিস হয়নি। এসব জুয়াড়িরা অনেকটাই থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মোবাইলও ইন্টারনেট টিভি দেখে সহপাঠিদের সাথে ফোন, হোয়াটস্আপ, ইমু ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে খেলার হারা-জেতার উপর বিভিন্ন অংকের টাকা বাজি ধরা হয়। অনেকে উন্নত প্রযুক্তির কারনে দেশে-বিদেশেও বাজি ধরে থাকেন। মোবাইলের মাধ্যমে সারাদেশের বাজিকরদের সাথেও বাজি ধরা হয়ে থাকে। কোন্ খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটস্ম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এসবের উপর প্রতি মুহুর্তেই চলছে বাজিধরা। এভাবে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ক্রিকেট জুয়ায় ভাসছে। ফলে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ।