তেঁতুলিয়ায় করতোয়া নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
পঞ্চগড় প্রতিনিধি Channel 4TV :
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় দেবনগড় ইউপির নিজবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ৩৩৭ কি.মি সীমান্তে সিসি বøক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও নি :মানের সামগ্রী ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩০৩ টাকা ৮৩ পয়সা ব্যয়ে ভজনপুর করতোয়া নদীর ৩৩৭ মিটার বাঁধের সিসি বøক তৈরির কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খন্দকার শাহীন আহম্মেদ কার্যাদেশ প্রাপ্তির-১৪ মে/২০১৫ তাখির থেকে ১৫ মে/২০১৬ তারিখের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা। এছাড়া কিন্তু নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের আশপাশ এলাকায় সিসি বøক তৈরির কথা। কিন্তু সিসি বøক তৈরির জায়গা না পাওয়ার অজুহাতে সময় মত বøক তৈরি করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রকল্প এলাকা থেকে প্রায় ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভজনপুর ইউপির ভেরসা নদীর পুর্বে বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে বøক তৈরির কাছ শুরু করে। বøক তৈরিতে খুব নি¤œমানের পাথর ও বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিসি বøক তৈরির কাজে নেটিং বিহীন পাথর ও ময়লাযুক্ত বালু দিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আগে ভাল পাথর ও বালু দেয়া হয়েছে, শুধুমাত্র দু‘এক ট্রলি বা ট্রাকর পাথর ও বালু সাইটে খারাপ দিয়েছে। বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় মহাসড়কের ধারে সিসি বøক তৈরিতে ব্যবহৃত পি-আউট পাথর না দিয়ে এমালগেট পি সাইজের পাথর ও বালু ব্যাবহার করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে এই প্রতিবেদককে দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওযার্ক এসিস্ট্যান্ট মোছাদেকুল ইসলাম ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম এগিয়ে আসে এবং তারা অনিয়মের কোন প্রকার সঠিক জবাব দেননি। তবে দায়িত্ব প্রাপ্ত শাখা কর্মকর্তা-ভানু জয় দাস ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওসমান গনিকে প্রকল্পের কাজ চলাকালীন পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প তদারকীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা কর্মকর্তা-ভানু জয় দাসের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পঞ্চগড়ের বাহিরে আছি, নিয়মানুযায়ী কাজ হচ্ছে। এছাড়া কাজে কোন ত্রæটি হলে বুয়েট টেস্টে সিসি বøকগুলো বাতিল হবে এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টাকা পাবে না।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় সাইন বোর্ডে যাবতীয় তথ্য দেয়া আছে, আমি একটি মিটিং-এ রয়েছি বলে লাইন কেটে দেয়।