বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি রেখেছে বিশ্বের কয়েকটি দেশ
দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি যথেষ্ট শান্ত থাকার পরেও এখনও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণে সে দেশের নাগরিকদের সতর্কতা জারি রেখেছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণ না করতে এমনকি বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে এ সব দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলোতে।
যা বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে শুধুমাত্র নেতিবাচক ভাবমূর্তিই নয় বিদেশি পর্যটক আসার অন্যতম বাধা বলে মনে করেন দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে মত তাদের।
২০১৬র জুনে গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ঘটনার পরে জাপান ইতালি সহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে সে দেশের পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর পর বেশ কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এখনও আট থেকে দশটি দেশ বাংলাদেশ ভ্রমনে সতর্কতা জারি রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস ও হাইকমিশন এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশে ভ্রমনের বিষয়ে তাদের নাগরিকদের বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমন না করার আহ্বান জানান হয়েছে এসব ওয়বেসাইটে। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে এ সব দেশের পক্ষ থেকে। যা বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করছে বলে মনে করেন দেশের পর্যটন উদ্যোক্তারা।
প্রতিবেশি অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি যথেষ্ট শান্ত রয়েছে উল্লেখ করে পর্যটন মন্ত্রনালয় বলছে বাংলাদেশ ভ্রমনে কোন বিদেশির নিরাপত্তা ঝুকি নেই।
মুহিবুল ইসলাম (সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়) একটা দুটা ইনসিডেন্ট দিয়ে তো একটা স্টেটকে বিচার করা সম্ভব না। আমরা মনে করি কেউ বেড়াতে আসলে তাদেরকে আমরা শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পারব।
তবে বাংলাদেশ ভ্রমনে কয়েকটি দেশের সতর্কতা তুলে নেয়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট কোন দফতর থেকেই। তাই দেশের পর্যটন বিকাশের স্বার্থে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কে সাথে নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে পর্যটন মন্ত্রনালয়কেই। এমনটাই মত এই পর্যটন বিশেষজ্ঞের।
সাবেক চেয়ারম্যান (ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি বিভাগ, ঢাবি) ট্রাভেল এলার্ট থাকলে প্রাথমিক দায়িত্ব হলো তাদেরকে রিকোয়েস্ট করা যেন তারা এই দেশে আসেন।
বাংলাদেশ ভ্রমণে কয়েকটি দেশের এই ভ্রমন সতর্কতা বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করায় এখনই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে মনে করেন দেশের পর্যটন সংশ্লষ্টিরা।