গাংনীর আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চায় বর্তমান কমিটি
এম এ লিংকন,মেহেরপুর 4TV
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রথম দিকে বিদ্যালয়টি চাটাইয়ের বেড়া ও টিনের চাল দিয়ে নির্মিত হলেও প্রায় দশ বছর পরে প্রতিষ্ঠানটিতে সরকার কর্তৃক পাকা দালান নির্মিত হয়। আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নির্মিত হয় ২০০০ সালে।
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দ্বায়িত্ব পালন করেন ষোলটাকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সাবদাল হোসেন কালু। বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির দ্বায়িত্বরত কয়েক জন দাবি করেন মুলোত মরহুম সাবদাল হোসেন কালু দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ানোর পর বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে আসিন হন সরকারের সাবেক সচিব আমীর উদ্দিন আহম্মেদ।
তিনি ঐ গ্রামেরই বাসিন্দা বলে জানান বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিন। প্রধান শিক্ষক মোঃ মোকাদ্দেস আলি বিদ্যালয়ের কাজে বাইরে থাকায় অন্যান্য শিক্ষক ও হিসাব রক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষাগত ও অবকাঠামো বিষয়ে বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে সাবেক সচিব আমীর উদ্দিন এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নির্মিত হয় এবং পরে এমপিও ভুক্তিও তাঁর প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বা ভর্তি ফি সহ অন্যান্য কোন খরচ নেওয়া হয়নি।
মোঃ ফরিদ উদ্দিন ঐ বিদ্যালয়ের একজন হিসাব রক্ষক হলেও তিনি বিদ্যালয়ে বেশ প্রভাব খাটান এমন অভিযোগের উত্তরে তিনি তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কথা মতো কাজ করে থাকি। তারা যেভাবে বলেন আমি সেভাবে কাজ করে থাকি এর বাইরে কোন কিছু করার আমার এখতিয়ার নেই আর করিওনা। তবে তিনি বলেন সাবেক সচিব আমির উদ্দিন আহম্মেদ দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে সার্বিক ভাবে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বর্তামানে বিদ্যালয়ে ৬শ’ ৬২ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ১৩ জন সহ মোট ১৭ জন কর্মচারি।
বিদ্যালয়ে প্রতিবছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলও বেশ সন্তোষ জনক বলেন জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক গণ। বর্তমান কমিটি নিয়ে নানান গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে হিসাব রক্ষক বলেন চলতি বছরের ১৭ আগষ্ট অভিভাবকদের নিয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচন হবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠার কথা নয়। তবে সমালোচকরা বিভিন্ন সময় নানান ভুয়া ও বানোয়াট কথা তুলে আমাদের বিদ্যালয় ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নামে প্রচারণা করে আসছে বলে জানান হিসাব রক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক বলেন এলাকার অভিভাবক যদি মনে করেন বর্তমান কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বা বর্তমান কমিটির হাতে থাকলে বিদ্যালয়ে উন্নয়ন হবে তাহলে এ কমিটি নির্বাচিত হবে অন্যথায় নতুন কমিটি নির্বাচিত হলেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে তিনি ও এলাকাবাসি মনে করেন সাবেক সচিব আমীর উদ্দিন আহম্মেদ দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তাই শিক্ষার্থী অভিভাবকরা মনে করেন আবারো তাকেই নির্বাচিত করা উচিৎ।
এদিকে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকটি মহলের মিথ্যা রটনাকে দঃুখ জনক বলে মনে করেন বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস আলি।