ফোরজি’র পরই কেন ফাইভ-জি? জবাব পলকের
আওয়ামী লীগ সরকার সময়ের চেয়ে অনেক দূরে চিন্তা করে বলেই ফোরজি চালু হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা নিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার (২৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, মাত্র ফেব্রুয়ারিতে ফোরজি চালু হয়েছে তাহলে আজকে কেন ফাইভ-জি সামিট? সেখানে একটাই উত্তর- আওয়ামী লীগ সময়ের চেয়ে আগে চিন্তা করে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অনেক দূরে দেখতে পেতেন। শেখ হাসিনা সময়ের চেয়ে আগে চিন্তা করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় সময়ের চেয়ে আগে পরিকল্পনা করেন।’
সেটার প্রমাণ দিতেই ফাইভ-জি সামিটে উপস্থিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন তখন কেউ চিন্তাও করতে পারেনি যে আমাদের ওপর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা চাপিয়ে দেয়া হতে পারে। কিংবা বাংলাদেশের মানুষের ওপরে শোষণ নেমে আসতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শিতা দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলনে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলা অর্জন করেছিলেন এবং ত্রিশ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে একটি নিরস্ত্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে পেরেছিলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য বেতবুনিয়াতে স্যাটেলাইটের আর্থ স্টেশন স্থাপন করেছিলেন। তার চার দশক পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুপরামর্শে আমরা গত ১১ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধুর নামে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি।
এরআগে, ফাইভ-জি সেবার পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, রবির এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং জেনজুন।
তবে, ফাইভ-জি সেবা এখনই ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার করা যাবে না। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফাইভ-জি’র পরীক্ষামূলক সংযোগ চালু হলো। এই সংযোগ শুধু ফাইভ-জি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর জি সেবা চালু হয়। চার মোবাইল ফোন অপারেটরকে ফোর-জি সেবার লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে দেশে এ সেবার যাত্রা শুরু হয়। এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চগতির এই সেবা সুবিধা নিতে পারছেন গ্রাহকরা।