'ডাক্তারি পড়তে এসে ছাত্রীরা সম্ভ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে '
বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়তে এসে নেপালি ছাত্রীরা তাদের ‘সম্ভ্রম বিক্রি’ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেপালের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং।
বাহাদুর তামাং দাবি করেন, নেপালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল কলেজ না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী এমবিবিএস ডিগ্রি নিতে বিদেশে যায়। সেখানে কিছু বিষয়ে তারা সমঝোতা করতে বাধ্য হয়। এ রকম পরিস্থিতিতেও কিছু অভিজাত পেশাজীবী দেশে নতুন মেডিকেল কলেজ খোলার বিরোধীতা করেন। তারা চান না এ পেশায় অন্য আরও লোকজন আসুক।
মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নেপালের জাতীয় দৈনিক ‘দি হিমালয়ান’ গত ২২ জুলাই (রবিবার) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রীর এ ধরনের অভিযোগের নিন্দা করে অনেকেই বলছেন, এ ধরনের অভিযোগ বাংলাদেশে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীদের সুনাম ব্যাহত করবে। এ অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
এর আগে নেপালের বি অ্যান্ড সি মেডিকেল কলেজের নির্বাহী পরিচালক দুর্গা প্রসাই নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে একই ধরনের অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতে গিয়ে ও এমবিবিএস সার্টিফিকেট পেতে নেপালি শিক্ষার্থীরা ধর্ষিত হচ্ছে কি-না (সেক্সুয়েলি এক্সপ্লোটেড) তা গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধান করা উচিত।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে তিন শতাধিক নেপালি ছাত্রী অধ্যয়ন করছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।