কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভবনের প্লাস্টার খোসে ছাত্রী আহত!
মোঃ নজরুল ইসলাম,কোটচাঁদপুর
মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের সিলিং’র প্লাস্টার খোসে বৈশাখী আক্তার(১৩) নামের অষ্টম শ্রেণীর একছাত্রী আহত হয়েছে। আহত বৈশাখীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্রেণীকক্ষের প্লাস্টার খোসে পড়ার ঘটনায় ছাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দ্রুত শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ভাবে স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়।
কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহক আলী জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টায় ১০৫ নং কক্ষে অষ্টম শ্রেনীর ক্লাস চলছিল। এ সময় আকষ্মিক ভাবে সিলিং’র প্লাস্টার খোসে পড়লে ক্লাসের পাঠরত বৈশাখী (১৩) আহত হয়। খোসে পড়া প্লাস্টার বৈশাখীর কোমর ও ঘাড়ে পড়লে সে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বৈশাখীর অবস্থা দেখে সহপাঠীরাও দ্রুত ছোটাছুটি করে বেরিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, ১৯৫৩ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ষাটের দশকের প্রথম দিকে স্কুলের এ ভবণ নির্মাণ করা হয়। প্রায় ষাট বছর যাবত জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। বর্মমানে এ ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার পরও শ্রেণী কক্ষের সংকটের কারণের বাধ্য হয়েই এখানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
বিগত দিনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভবনের দৈন্য দশার বিবরণ দিয়ে পত্র মারফত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।এর প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। উপজেলা প্রশাসনও এ ভবনের ক্লাস না নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু উপজেলা একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১২০০ ছাত্রী লেখা পড়া করছে। তাছাড়া একই সাথে ১৮টি শ্রেণী কক্ষে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হয়। সে কারণে ইচ্ছা না থাকলেও কক্ষ সংকটের কারণে পরিত্যক্ত ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এদিকে প্লাস্টার খোসে ছাত্রী আহত ঘটনায় অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন মিয়া বলেন, আমি শুনেছি ও খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে,সে এখন অনেকটা সুস্থ্য এবং উক্ত ভবন পরিত্যক্ত কি না আমার জানা নাই।