‘আগস্টে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হবে’
আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি সচিব। উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কয়লা খনির সব কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা লোপাটের ঘটনা তদন্তে শুক্রবার (২৭ জুলাই) সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল দিনাজপুরে খনি পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব, জ্বালানি সচিব ও পিডিবি চেয়ারম্যান। পরে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করাসহ নতুন করে কয়লা উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সাংবাদিকদের জানান, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হলেও পূর্ণাঙ্গ উত্তোলন শুরু হবে সেপ্টেম্বরে।
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় লোডশেডিং কমাতে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, 'সিরাজগঞ্জে আমাদের গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি ছিল। এখন সেই সরবরাহ তারা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে এসেছে। আমাদের বিদ্যুতের যে সরবরাহ সেখানে বড় ধরনের কিছু হয়নি। এখানে ঘণ্টাখানেকের একটা ডিসরাপশন আছে।'
দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কয়লা খনির সব কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘এখন সকলেই কাজ করছেন। তারা ছুটিও নিচ্ছেন না। অনেক চাইনিজ শ্রমিক ছুটি নিয়েছিল। তারা আবার ফেরত এসেছে।’
গত ১৯ জুলাই দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিকটন কয়লা চুরির অভিযোগ ওঠে। এরপর কয়লার অভাবে ২২ জুলাই রাতে বন্ধ হয়ে যায় দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।