সৌদী আরবে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশী নাসির
নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলের কালিয়ার কদমতলা গ্রামের বদিয়ার শেখের ছেলে মো. নাসির শেখ (৩৪) ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে দেড় বছর আগে চাকরি করতে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন। কিন্তু সে আশা পূরণের আগেই তাকে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। শনিবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮ টার দিকে সৌদী আরবে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশী ওই শ্রমিক। নাসিরের মৃত্যুর খবরটি তার বাড়িতে পৌঁছালে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। সাত বছরের শিশু সন্তান নিষাদ কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন অন্তঃস্বত্ত¡া স্ত্রী সুইটি বেগম। পুত্র শোকে বাবা বদিয়ার মিয়া নির্বাক পাথর হয়ে গেছেন। নাসিরের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসা স্বজন ও প্রতিবেশীদের দিকে শুধু নিঃষ্পলক তাকিয়ে চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছেন। কথা বলছেন না কারো সঙ্গেই। সন্তান হারা মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস। তিনি মূর্ছা যাওয়ার পাশাপাশি প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিজের ও পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে বাবা, মা ও স্ত্রী সন্তানদের সুখের দিন গড়তে নাসির শেখ প্রায় দেড় বছর আগে পাড়ি জমায় সৌদী আরবে। শনিবার বাংলাদেশী সময় সকাল ৮ টার দিকে বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে সে দুর্ঘটনায় পতিত হন। দ্রæতগামি একটি বাস তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে থাকা একই গ্রামের মহাসিন শেখ সৌদি আরবের দামাম শহরে থাকা নিহতের ভাই ইমামুল কবিরকে প্রথমে ঘটনাটি জানান। ইমামুলের রুমমেট শরীয়াতপুরের সুমন শেখ ওইদিন সকাল ৯টার দিক নাসিরের বড় ভাই আরজুল্লাহ শেখকে ফোনে ঘটনাটি জানালে নাসিরের বাড়িতে শুরু হয় শোকের মাতম। নিহতের বড় ভাই আরজুল্লাহ শেখ জানান, ‘নাসির দেড় বছর আগে সৌদী আরব গেছে। গত ডিসেম্বর মাসে ১ মাসের ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে গেছেন তার কর্মস্থল জিজান শহরে।’ কালিয়া থানার ওসি শেখ শমসের আলী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। খবর পেলে ব্যবস্থা নেব।