সুন্দরবনে হরিনের মাংস ৪শ’ টাকা, বিক্রি হয় আগাম অর্ডারে! হরিনের মাথাসহ , মাংস ও নৌকা উদ্ধার
এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের পুর্ব সুন্দরবন থেকে পাচার হওয়ার সময় ১০ নৌকা হরিনের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শুক্রবার বনের মৃগামারী সাইনবোর্ড এলাকা থেকে একটি নোৗকাসহ হরিনের মাথা ও পাঁসহ এ মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।অগ্রিম অর্ডার দেওয়া লোকজনের নিকট কেজি প্রতি ৪শ টাকায় নগদ বা বাকিতে মাংস বিক্রি করে থাকে।
তবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট দু’জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেলেও ওই সময় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনে অবাধে ফাঁদ পেতে নানা কৌশলে হরিণ শিকার চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে হরহামেশাই।
জানা গেছে, প্রতি কেজি মাংস ৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়। এর আগে ক্রেতাদের কাছ থেকে আগাম অর্ডার নেওয়া হয়।পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা উপজেলার শরণখোলা উপজেলাধীন কাটলার খালে বন বিভাগের সুপতি স্টেশন,সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, কালিনগর, কামারখোলা, কৈলাশগঞ্জ, রামনগর, বানিশান্তা, ঢাংমারী ও লাউডোব এলাকার চিহ্নিত বেশ কয়েকটি হরিণ শিকারী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে, আবার কখনো এদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে সুন্দরবনে ঢুকে শিকারীরা লম্বা ফাঁদ বনের ভিতর টাঙ্গিয়ে খুব সহজেই হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসে।
পরে বিভিন্ন এলাকার অগ্রিম অর্ডার দেওয়া লোকজনের নিকট কেজি প্রতি ৪শ টাকায় নগদ বা বাকিতে মাংস বিক্রি করে থাকে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযানে হরিণের মাংস ও চামড়াসহ এসব শিকারী চক্রের দুই একজন সদস্য ধরা পড়লেও থেমে নেই হরিণ শিকার।
আবার ধরা পড়া দুই একজন ব্যক্তিকে প্রশাসন ছেড়ে দিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি এ সকল শিকারি চক্রের কাছ থেকে হরিণের মাংসসহ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করায় হরিণ নিধনের প্রবণতা বাড়ছেই। এভাবে চললে আগামীতে বনের হরিণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির জানায়, একদল চোরা শিকারীরা বনের মধ্যে গিয়ে ফাদঁপেতে হরিন শিকার করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে মৃগামারী ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। চাদঁপাই ষ্টেশন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির, ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ কামরুল আহসানসহ একদল বনরক্ষি অভিযানে গিয়ে একটি নৌকায় হরিন শিকার করে তার মাথা,পাঁ ও মাংস নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় নৌকাটিতে চ্যালেঞ্জ করলে হরিনের মাংসসহ নৌকা ফেলে রেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ১০ কেজি হরিনের মাংস একটি হরিনের মাথা ও পাঁ উদ্ধার করা হয়। যারা বনের ভিতর থেকে ফাদঁ পেতে হরিন শিকার করছে এবং নৌকা ফেলে রেখে পালিয়েছে তাদের দু’জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে বলে জানায় এ রেঞ্জ কর্মকর্তা।
পুর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির জানায়, একদল চোরা শিকারীরা বনের মধ্যে গিয়ে ফাদঁপেতে হরিন শিকার করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে মৃগামারী ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। চাদঁপাই ষ্টেশন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির, ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ কামরুল আহসানসহ একদল বনরক্ষি অভিযানে গিয়ে একটি নৌকায় হরিন শিকার করে তার মাথা,পাঁ ও মাংস নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় নৌকাটিতে চ্যালেঞ্জ করলে হরিনের মাংসসহ নৌকা ফেলে রেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ১০ কেজি হরিনের মাংস একটি হরিনের মাথা ও পাঁ উদ্ধার করা হয়। যারা বনের ভিতর থেকে ফাদঁ পেতে হরিন শিকার করছে এবং নৌকা ফেলে রেখে পালিয়েছে তাদের দু’জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে বলে জানায় এ রেঞ্জ কর্মকর্তা।