শিশু শিক্ষা না শিশু শ্রম
সাজু হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি 4TV
নাম রাব্বি বয়স ১১ ছুইছুই এবং তার বন্ধু আসিক সবেমাত্র ১২তে পা পরেছে। এসময় কাদে স্কুলব্যাগ আর ইউনিফ্রম পরে স্কুলে যাবার কথা কিন্তু মাথায় পাইছা নিয়ে একদিক থেকে অন্যদিক, এক পাইকার থেকে অন্য পাইকার, এক স্থান থেকে অন্য স্থান। পাইছায় মাছ তুলতে দৌড় প্রতিযোগিতা করতে হয় কারন পেটের ক্ষুদা মেটাতে হয় বলে।
নারায়ণগঞ্জের ৫নং খেয়াঘাট মাছ বাজারে এ দৃশ্য দেয়া যায়। শিশুদের দ্বারা কঠিন ও বারী কাজ করাচ্ছে কিছু মাছ ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা।কারন কম টাকায় বেশি কাজ করানো যায়। বড়দের দিয়ে করানো যায় না কম টাকায় কাজ, এবং কোন ভুল হলে ঠপাস করে গালে দু খানা চর বসানো যায়। এবং টাকা বেশি চাইলে ধমক দিয়ে কম দেয়া যায় বলে তার ফয়দা লুটছে তারা। এক পাইছা ভর্তি মাছ গন্তব্য স্থানে পৌছে দিলে তার বিনিময় ৫,১০ টা দিচ্ছে তার মজুরী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা ভোর সকাল থেকেই পাইছা নিয়ে তারা বাজারে চলে আসে এবং দুপুর পর্যন্ত কাজ করে থাকে।
রাব্বি ও আসিক জানায়, মাথায় আমাদের শরিরের ওজনের থেকেও বেশি (৪০-৫০ কেজি)মালামাল পাইছা বরে মথায় করে নিয়ে গন্তব্য স্থানে পৌছে দিলে মিলে ৫-১০ টাকা বেশি চাইলে মার খেতে হয় সারা দিন শেষে ১০০ বা ১৫০ টাকা রোজগার হয় এ দিয়েই আমাদের পেট চলে।
বাজারের এক ক্রেতা আরিফুজ্জামান বলেন বাজারে এসে আমি প্রতিবারই অবাগ হই এটি শিশু শিক্ষা না শিশু শ্রম।
শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে এ জন্য প্রশাসন ও ঊর্ধতন কর্মতাদের এ বেপারে দৃষ্টি দেয়া উচিত শুধু মাছ বাজারই নয় নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টস,মেলফেক্টরি,সহ নানা জায়গায় রয়েছে এবং কিছু মালিক তার ফায়দা নিচ্ছে তাই শিশু শ্রম আইন করে তা অতিশিগ্রই তা বন্ধ করতে হবে। কারন শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হচ্ছে তাই সকলের এক সাথে তার প্রতিবাদ করা উচিত।