মেহেরপুরে ব্রীজের ধারন ক্ষমতা ৫ টন হলেও চলছে ৬০ টনের মাল বোঝাই পরিবহন।
এম এ লিংকন,মেহেরপুর
মেহেরপুর-গাংনীর প্রধান সড়কের ঝুকিপূর্ন আলমপুর সেতু জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করলেও আতংক কাটেনি সড়কে চলাচলকারীদের। ঝুকিপূর্ন সেতুকে ঝুকি মুক্ত করতে শনিবার সকাল থেকে লোহার সেতু সংযোজন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,আলমপুর সেতু নাম মাত্র সংস্কার করা হলেও এখন মৃত্যুফাঁদ হিসাবে রয়েছে।
সেতুর মধ্যভাগে ফাটল ধরেছে। সেতুর উপরিভাগের সমান্তরাল লেভেল এখন অনেকখানি (৩ ইঞ্চি পরিমাণ) নিচের দিকে বসে গেছে। যে কারনে যে কোন মূহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। সম্প্রতি এলাকাবাসী সেতুর ফাটলের বিষয়টি দেখতে পায়। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, ৫ টন ধারন ক্ষমতার যানবাহন চলাচলের জন্য ১৯৬৪ সালে আলমপুর সেতুটি নির্মান করা হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রন ম্যাসিন না থাকার কারনে মেহেরপুরের ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম প্রতিনিয়ত ৫০/৬০ টন পাথর বোঝাই ট্রাক ঐ সেতু দিয়ে পার করছে। একারনে সেতুটি ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়ে। তবে সংস্কার করার কারনে কিছুটা হলেও সেতুটি এখন ঝুকিমুক্ত। তবে ভারী যানবাহন না চালাতে সেতুর দুপার্শে সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান,নতুন সেতু নির্মান করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষ সেতু নির্মান করা হবে। এছাড়া মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক নতুন করে নির্মান করা হবে। রাস্তার সাথে সেতুটি করার জন্যও পত্র প্রেরন করা হয়েছে। একজন ঠিকাদারের কারনে আলমপুর সেতু ঝুকিপূর্ন হয়েছে সেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা বা হবে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
ঠিকাদার জহুরুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পুনরায় কল দেয়া হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে শনিবার সকাল থেকে সেতুটি সংস্কার কাজ শুরু হলে গাংনী,মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন বিকল্প রাস্তা হিসাবে গাংনী থেকে কাথুলী হয়ে অন্যদিকে গাংনী থেকে গাড়াডোব আমঝুপি হয়ে মেহেরপুর জেলা সদরে যেতে হয় এতে করে জনদূর্ভোগ পোহাতে হয় ভুক্তভুগীদের।