নবাবগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে স্কুলছাত্রকে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি
এম.এ সাজেদুল ইসলাম(সাগর) নবাবগঞ্জ ,দিনাজপুর
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পরিকল্পিতভাবে স্কুল ছাত্রকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্তরাও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে দাফনের প্রায় ২ মাস পর আক্কাস আলী (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশটি নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়।
এসময় নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার লাশ উত্তোলনের দৃশ্য দেখতে এলাকার উৎসুক জনতার ভিড় জমে উঠে। পুলিশ জানায় উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে এবং শালখুরিয়া হাইস্কুলের গত বারের এসএসসি পরীক্ষার্থী আক্কাস আলী (১৭) গত ১৯ মার্চ রাত ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে পাশ্ববর্তী তিখুর বাজারে ইসলামী সভা শুনতে বের হয়ে যায়।
এরপর তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় ২ দিন পর ২১ মার্চ সকালের দিকে শালখুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে পানি প্রবাহের একটি নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পানিতে পড়ে মারা গেছে হিসাবে তাকে ওই দিনই বিকালে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর আলতাব হোসেনের সন্দেহ হয় যে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্কুলের পিছেনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল।
পরে এমন অভিযোগ আনয়ন করে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত- ০৬ এ একটি মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি গত ৩ মে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এফ আই আর হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
আদালতের ওই নির্দেশে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা নং-১২ তারিখ ৯/৫/২০১৮ দায়ের হয়। মামলার ভিকটিমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুল আলম জানান- অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে, মামলার বাদী হতাশ হয়েছেন যে, এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।