লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ভিড় বেড়েছে দ্বিগুণ: বিআরটিএ
লাইসেন্স প্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ, অতিরিক্ত সেবা কেন্দ্র বসিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছে না সংস্থাটি।
স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গত কয়েকদিনে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ভিড় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
আর এ সুযোগে রমরমা ব্যবসা হচ্ছে দালালদের— শুধু টাকার বিনিময়ে দালালদের সাহায্য কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স মিলছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎ করেই বদলে গেছে মিরপুর বিআরটিএর কার্যালয়।
লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে লাইসেন্সের জন্য অপেক্ষা এর আগে কখোনোই প্রত্যক্ষ করেনি বিআরটিএ।
বাড়তি চাপ সামলাতে ১৪ ব্যাংকের সেবা কেন্দ্র ১৪ থেকে ২০টি করা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে ৫টার অফিস চলছে ৯টা থেকে রাত ৯টা। শনিবার ছুটির দিনও অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপরও স্বাভাবিক নিয়মে প্রয়োজনীয় সেবা পেতে লেগে যাচ্ছে ৩/৪ ঘণ্টা।
অনেকের অভিযোগ, বাড়তি টাকা গুণলেই সব মুশকিলের আসান— লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না পরীক্ষায় পার হওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন দালালরা।
বিআরটিও কার্যালয়ের ভিতরে-বাইরে অনেক জায়গায়ই ছাতার নিচে ছোট ছোট জটলা। এগুলো দালালের ছাতা হিসেবেই পরিচিত ওখানকার লোকজনের কাছে— এখানে সেবা মিলছে খুব দ্রুত্।
এ দালালরা এতদ্রুত কিভাবে সেবা দিচ্ছেন? বিআরটিএর লোকজনের যোগসাজোস ছাড়া কি এটা সম্ভব?
জবাবে দালালদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার কথাই জানান দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
নতুন লাইসেন্স প্রত্যাশীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ আর নবায়ন এবং ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।