নাটোরে হঠাৎ করেই কমে গেছে চামড়ার দাম
নাটোরে হঠাৎ করেই কমে গেছে চামড়ার দাম। দুই সপ্তাহ আগের দামের চেয়ে অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে চামড়া। কম দামেও চামড়া কিনছেন ট্যানারি মালিকরা। প্রতিবছর কোরবানির আগে নাটোরের চামড়ার আড়তগুলো ফাঁকা থাকলেও এবার কোটি কোটি টাকার পড়ে রয়েছে। এছাড়া নাটোরের ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি আটকে রয়েছে ট্যানারি মালিকদের কাছে।এই পরিস্থিতিতে কোরবানি ঈদের চামড়া পাচারের আশংকা করছেন নাটোরের ব্যবসায়ীরা।
উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম নাটোরের চামড়ার বাজারের ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা অলস সময় পাড় করছেন এখন। প্রতিবছর কোরবানি ঈদের মাসখানেক পূর্বেই এখানকার আড়তগুলো ফাঁকা হয়ে যায়।এখানকার ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নেন কোরবানি চামড়া কেনার। তবে এবছর চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। কোরবানি ঈদের আর দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও কোটি কোটি টাকার চামড়া পড়ে আছে এখানকার আড়তগুলোতে।
তার উপরে গত ২ সপ্তাহ হলো এখানকার বাজারে চামড়ার দাম নেমেছে অর্ধেকেরও নিচে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে চামড়া সংরক্ষণ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে আড়ৎদারদের কাছে।চামড়ার দাম কম দেওয়ার পাশাপাশি নাটোরের ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছেন ট্যানারি মালিকরা। এতে করে আর্থিক সংকটের কারণে কোরবানির চামড়া কিনতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, কোরবানির আগে সাধারণত কখনোই চামড়া পড়ে থাকে না। তবে এবার কোটি কোটি টাকার চামড়া পড়ে রয়েছে।
প্রতিবছর ঈদের আগে ট্যানারি মালিকরা ঋণ গ্রহণ করলেও নাটোরের ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ করে না বলে অভিযোগ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতির। তিনি নাটোরের ব্যবসায়ীদের পাওনা প্রায় ৭০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চীন চামড়া কেনা বন্ধ করায় বাজারে ধস নেমেছে বলে জানান তিনি। বাজারের এই পরিস্থিতিতে কোরবানির চামড়া পাচার হবে বলেও জানান তিনি।
নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, চামড়ার দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে যে চামড়া বিদেশে পাচার হবে না তার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় অবস্থিত উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়া বাজার। এখানকার প্রায় ২৫০টি আড়ত থেকে দেশের ২২ জেলার চামড়া কেনেন ট্যানারি মালিকরা। সারা বছর এখানে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার চামড়া কেনা বেচা হয়। শুধুমাত্র কোরবানির চামড়া বিক্রি হয় ৫০০ কোটি টাকার।