রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র চেক করলেন সেতুমন্ত্রী
পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে বাস ছাড়ছে পরিবহন মালিক সমিতি। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে পঞ্চম দিনের মতো রাজধানী জুড়ে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করছে পুলিশ। এদিকে, ট্রাফিক ও পুলিশের সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই নেমেছেন রাস্তায়।
একের পর এক গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই করছেন। তাকে ঘিরে উৎসুক মানুষের ভিড়। খবর পেয়ে ছুটে যান সংবাদমাধ্যমকর্মীরাও। ওবায়দুল কাদের প্রথমে একটি বাস থামান।
এরপর সময় টেলিভিশনের একটি গাড়ি থামান তিনি। অবশ্য গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকায় এটিও ছেড়ে দেন মন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রী আরও কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গাড়ির কাগজ যাচাই করেন।
এ সময় মন্ত্রী তার সঙ্গে থাকা ট্রাফিক বিভাগের লোকদের নির্দেশ দেন যাতে গতিসম্পন্ন সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা না চলে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে কিনা, স্থানীয়দের কাছে জানতেও চান তিনি।
গত চার দিনের মতো রাজধানীতে সকাল থেকেই ফিটনেস, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, সারাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে প্রায় ৫৯ হাজার মামলা ও ২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, সকাল থেকে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী তোলার আগেই যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করে পরিবহন মালিক সমিতি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অনুমতি মিলছে না যানবাহন চলাচলের। মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ফিটনেস না থাকলে বন্ধ রাখা হচ্ছে সেসব বাস।
এছাড়া রুট পারমিট না থাকলেও অনুমতি মিলছে না বাস চলাচলের। যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নতুন এই নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়ে বছরব্যাপী এ উদ্যোগ চালু রাখার দাবি জানিয়েছে। বুধবার (০৮ আগস্ট) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এক বৈঠকের পর চুক্তি ভিত্তিক বাস চলাচল বন্ধসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।