খুঁজে পাওয়া গেলো না ভুটানকে!
জয় যাত্রা ছুটছেই বাংলাদেশের মেয়েদের। টানা দ্বিতীয়বারের মত আসরের ফাইনালে উঠলো তহুরা-মারিয়ারা। একপেশে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভুটানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। শনিবার ফাইনালে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলার কিশোরীরা। বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্টেডিয়ামের আলোয় আলোকিত লাল সবুজের পতাকা, এ যেনো এক টুকরা বাংলাদেশ। তার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে লড়াইয়ে নামা মারিয়াদের চোখে মুখে। ম্যাচের আগে সবাই প্রত্যাশ্যা করেছিলো স্বাগতিক হিসেবে হয়তো ভুটান কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেবে। কিন্তু তার ছিটেফোটাও তারা করে দেখাতে পারিনি। উল্টো ছড়ি ঘুরিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
১৮ মিনিটে গোল শুরু করেন ডিফেন্ডার আনাই মগিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের এই কিশোরীর গোলে উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশি দর্শকেরা।
বড় বোনের পর জ্বলে ওঠে ছোট বোন আনিচিং মগিনিও। ৩৮ মিনিটে তার গোলো ব্যবধান ২-০ তে নিয়ে যায় বাংলাদেশ। গ্যালারিতে থাকা ভুটান সমর্থকরা আশার বীজ বুনেছিলেন। এই বুঝি জ্বলে উঠবে স্বাগতিকরা। কিন্তু দলের নামটা যে বাংলাদশে, তাদের রক্ষণ ভাঙাতো আর সোজা কথা নয়।
আসরে এ পর্যন্ত একটা গোলও হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। তাই এদিনও অলস সময় কাটিয়েছে গোল রক্ষক মাহমুদা। বিরতিতে যাওয়ার আগে আবারো ভুটান দুর্গে আঘাত। এবার কাণ্ডারি দলের অন্যতম সেরা তারকা বাংলার মেসি খ্যাত তহুরা। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর আরো আগ্রাসী বাংলার সোনার মেয়েরা। ৬৯ মিনিটে ভুটানকে হতাশ করে দলের হয়ে ৪র্থ গোল করেন মারিয়া মাণ্ডা। ম্যাচে অভিজ্ঞতার প্রাধান্য দিলেও চমক দিয়েছে নতুরাও। ৮২ মিনিটে কক্সবাজারের উখিয়ার মেয়ে সাহেদা আক্তার রিপার গোলে ৫-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটি রিপার প্রথম গোল। এরপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি ভুটানকে।