আগে গরু, পরে মানুষ
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গরুবাহী ট্রাক ও পিকআপগুলো আগে পার করা হচ্ছে। যেকারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারের অপেক্ষায় রয়েছে দূরপাল্লার বাসগুলো। এতে তীব্র গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
শনিবার(১৮ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে ঢাকাগামী বাসে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটে রয়েছেন যাত্রী সাংবাদিক এস আর এ হান্নান। বিকেল ৫টা বাজলেও তিনি ঘাট পার হতে পারেননি বলে সময় নিউজকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মাগুরা থেকে সকাল ১১টায় দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান। গন্তব্য ঢাকা। কিন্তু ঘাট থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজট লেগে আছে। এতে শিশু ও বয়স্করা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নেছেন রাস্তার পাশের হোটেল থেকে।
সময় নিউজকে তিনি বলেন, ঘাটে ভিআইপি এবং গরুবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব যানবাহন পারাপারে তেমন কোনো সিরিয়াল নেই। নেই কোনো ভোগান্তিও। যতো ভোগান্তি আর দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটের দুই পাশে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোর দীর্ঘসারি। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত বাসের মধ্যে বসে থেকে অতীষ্ঠ হয়ে উঠছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে এই প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
গত রাতে ২০ টি ফেরির মধ্যে একটি বিকল হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছে যানবাহন পারাপারে। এছাড়া প্রবল স্রোতে ধীরগতিতে ফেরি চলাচল করায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।
এতে উভয়পাড়ে আটকা পড়েছে ছোট-বড় সহস্রাধিক যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রী ও পশুবাহী ট্রাক চালকরা। আজ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।
এবারের ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের মহাভোগান্তির এ চিত্র সহসা কাটছে না।
এদিকে, ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রবল স্রোত ও একটি ফেরি বিকল হয়ে যাওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন।