মেহেরপুরে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর জেলা শহরে স্ত্রী গুলশান আরাকে (২৫) গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী মহিরুল ইসলাম। রবিবার সকালে মেহেরপুর শহরে কাশ্যপ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত স্বামী মহিরুল ইসলাম সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের মিয়াজান আলীর ছেলে।
সে পেশায় দর্জির কাজ করে। পরে সে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে। প্রতিবেশীরা জানান, গুলশান আরা ছিল মহিরুল ইসলামের চাচাত ভাবী। কয়েক বছর আগে তাদের তালাক হয়। পরে গত ৬ মাস আগে মহিরুল ইসলামের সাথে তাঁর বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে গুলশান আরা বিভিন্ন জিনিস কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করতে থাকে। বেশ কিছুদিন ধরে টেলিভিশন কিনে দেওয়ার আবদার করলে টেলিভিশন কিনে দেয়। ঘটনার আগের রাতে পাখি জামা কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করে। এনিয়ে রাত থেকে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ঝগড়া হয়। সকালেও ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে তার স্বামী ক্ষুব্দ হয়ে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে মহিরুল নিজেই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার এস আই সাইদুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এসময় স্বামী মহিরুল ইসলাম স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করলে পুলিশ তাকে থানা হেফাজতে নেয়।
অভিযুক্ত স্বামী মহিরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে তার জন্য টেলিভিশন কিনে দিলাম। গতরাত থেকে পাখি জামা কিনে দেওয়ার জন্য আবদার শুরু করে। আমি বলি হাতে টাকা নেই পরে কিনে দেব। এর পর থেকে ঝগড়া শুরু করে। কয়েকদফা ঝগড়া হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বার বার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে চাইছিল। তার অতিরিক্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি বলি দাড়া তোর যখন মরার এত সখ আমিই মেরে ফেলছি। এই বলে তার গলা টিপে মেরে ফেলেছি।
মেহেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, মহিরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।