বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সুউচ্চ হিমছড়ি পাহাড়, ঝর্ণা, পাথুরে সৈকত পর্যটক বরণে প্রস্তুত
প্রতিবছরই ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে পর্যটন শহর কক্সবাজার। এবারও ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতোমধ্যে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের ৮০ শতাংশ বুকিং হওয়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে নানা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে লাইফ গার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সুউচ্চ হিমছড়ি পাহাড়, ঝর্ণা, পাথুরে সৈকত ইনানী, রামুর বৌদ্ধ বিহার ও দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের মনোরম দৃশ্য ছাড়াও রয়েছে মনকাড়া অসংখ্য পর্যটন স্পট। সাগর আর পাহাড়ের মিতালী, সাথে ঝর্ণা কক্সবাজারের এসব প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিবছর ঈদের টানা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে লাখো পর্যটক।
এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। থাকছে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো সাজানোর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, টানা ছুটিতে জমজমাট হবে পর্যটন ব্যবসা।
ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানান, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার সি-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ রশীদ আহমেদ বলেন, 'বিচে প্রচুর পরিমাণ আমাদের লাইফগার্ড সদস্য আছে। আমরা প্রতিনিয়ত শিফট করে কাজ করে যাচ্ছি।'
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী বলেন, 'বিচ এলাকা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে থাকবে। সাগরে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমাদের টহল টিম থাকবে।'গত বছরের ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন ৩ লাখেরও বেশি পর্যটক।