পশু কোরবানির সময় মারাত্মক আহত কোরবানির ছুরিতে কেটে আহতদের ভিড় হাসপাতালে
পশু কোরবানির সময় মারাত্মক আহত রোগীর চিকিৎসা দিতে সকাল থেকে রাজধানীর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম অবস্থা। বাড়তি রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হলেও চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলে দাবি নার্স ও চিকিৎসকদের। তবে, ঈদের ছুটির কারণে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
পশু কোরবানি দিতে গিয়ে মারাত্মক আহত আলমগীর হোসেনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গৌরীপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এভাবেই কোরবানির সময় আহত রোগীরা সকাল থেকে রাজধানী ও পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে একের পর এক আসছেন এখানে।
একই চিত্র জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেও। রোগীদের চিকিৎসা দিতে এ দুটি হাসপাতালের মতো রাজধানীর অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম অবস্থা। পশু কোরবানির সময় অসতর্কতার কারণেই ঘটেছে আহত হওয়ার ঘটনা।
আহত এক ব্যক্তি বলেন, ‘গরু হঠাৎ করে মাথা নাড়া দেয়, নিচে টাইলস থাকায় মাথা সরে যায়। এবং হুজুর ছুরি চালাচ্ছিলেন, সেই সময়ে আমার হাতে ছুরি লাগে এবং হাত কেটে যায়।’
চিকিৎসক জানান, ‘গরু জবাই করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে অথবা রশি টানা টানি করতে গিয়ে হাত ভেঙে, পা ভেঙে নিয়ে আসে। রগ কাটা রোগীর সংখ্যাই বেশি আসে।’
এদিকে, আগে থেকে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালে ঈদ কাটালেও ঈদ আনন্দের পরিবর্তে চিকিৎসা সেবা নিয়েই উৎকণ্ঠা ছিল তাদের।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা বলেন, ‘ডাক্তার ছুটিতে চলে গেছেন। তাই এখন অপারেশনের পরিবর্তে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছি।’
ঈদে চিকিৎসক, নার্সসহ বেশিরভাগ কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছুটিতে থাকলেও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলে দাবি কর্তব্যরত চিকিসক ও নার্সদের।
নার্স জানান, ‘ঈদের সময় আমাদের জনবল কম থাকে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় ব্যঘাত ঘটতে পারে। তবে, সরকারি ছুটির দিনে সমস্যা বেশি হবে।
ঈদ উপলক্ষে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ছিল বিশেষ খাবারের আয়োজন। পোলাও, মাংস, সেমাই, মিষ্টিসহ নানা ধরনের এসব খাবার পরিবেশন করার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।