শার্শায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ ডাকাত আটক
মীর ফারক যশোর প্রতিনিধি:
যশোর শার্শা নাভারন বাজার সংলগ্ন যাদবপুর আনসার ক্যাম্পের পার্শ্বে মেহগনি বাগান থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১ ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি, ২ টি হাসুয়া দা, ১ টি কার্টার ও একটি রড সহ ৭ ডাকাত কে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ।শার্শা থানার এস আই দিবাকর বাদী হয়ে আটককৃত ৭ জন সহ অজ্ঞাত কয়েক জনে নামে শার্শা থানা অস্ত্র বিস্ফোরক ও ডাকাতির দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো যাদবপুর গ্রামের ১,পাকা বাবু ছেলে মো: হৃদয় হোসেন ২, আহম্মদ চোর এর ছেলে রাজু আহম্মদ ৩,মৃত মুনসুর আলীর ছেলে মন্টু মিয়া ৪, মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে মাসুদ ৫,নজরুল ইসলামের ছেলে আঃ সাত্তার ৬,কওসার আলীর ছেলে সোহেল রানা ও ৭,দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের মন্টু রহমান মন্টে এর ছেলে জনি ইসলাম।
শনিবার বিকালে শার্শা থানা এসআই দিবাকর,এসআই বখতিয়ার,এসআই কানু নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শার্শা নাভারন বাজার আনসার ক্যাম্পের পার্শ্বে ডা: মুনসুর আলীর মেহগনি বাগান অভিযান চালিয়ে তাদের ৭ জন কে আটক করে। এসময় পুলিশের উপস্তিতি টের পেয়ে ডাকাত দলে অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। আটককৃতদের যশোর জেল হেফাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।এবং আটককৃত ৭ জনকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছে মামলার তদন্ত কর্মকতা এস আই আনারুল আজীম। শার্শা নাভারন এলাকার হঠাৎ করে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে,ইদের পরে দিন সন্ধ্যার পর নাভারন ডগের বাগান হাজী কমর উদ্দিন এর ছেলে হুমায়ন কবির এর বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা বাড়ির ছাদের গেট ভেঙ্গে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ১ ল্যাপটপ, ১২ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় বাড়ির লোকজন কেউ বাড়িতে ছিলো না বলে জানান হুমায়ন কবির। হুমায়ন কবির প্রতিবেদক কে জানান আটককৃতরা ৭ ডাকাত পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।কিন্তু আজও আমার চুরি হওয়া মালা মাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ১০ ও ১২ ই আগষ্ঠ নাভারন বুরুজ বাগান(ফরেষ্টপাড়া)শুত্রুবার রাত ২ টার দিকে সানাউল্লা ও আলাল এর বাড়িতে ডাকাতরা হানা দিয়ে নগদ টাকা স্বর্ণ অলষ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। এর দুই দিন পর রবিবার সন্ধ্যা মাগরিব নামাজের পর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টা সময় নাভারন ফরেষ্ট পাড়া মুক্তারের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়,মুক্তার এর বউ এর চিংকারে এলাকাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া করলে
ডাকাতরা পাশের মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।তবে ডাকাতরা মুক্তারে বাড়ি থেকে কিছু নিতে পারেনি। শার্শা থানার(ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন,একটু অপেক্ষা করেন তদন্ত করে ডাকাতদের মুল হোতাদের বের করে আইনের আওতায় আনা হবে,এবং ডাকাতরা আর কোন ডাকাতি সংঘটিত না হয় তার জন্য পুলিশ সর্তক অবস্থানে থাকবে। শার্শা নাভারন এলাকায় হঠাৎ করে ডাকাতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এই এলাকার মানুষ আতষ্কে রাত যাপন করছে।