প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
(নওগাঁ) প্রতিনিধি
পতœীতলা সদর নজিপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিল্টন উদ্দীনের বিরুদ্ধে দৈনিক করতোয়া পত্রিকা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার সকালে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা শহরের একটি হোটলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিল্টন উদ্দীন বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে আমি জড়িত, পতœীতলার ব্লু-স্কাই ব্যান্ড দলের সভাপতি। প্রায় তিন বছর পূর্বে উক্ত ব্যান্ড দলে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম এলাকার সিরাজুল ইসলামের কন্যা সুরাইয়া শারমিন (২০) ও তার মা সোনাভান বেগম সুমি (৩৮) গান গাইতে পতœীতলায় আসে। সেই সুবাদে তাদের সাথে পরিচয় হলে প্রায় দু’বছর পূর্বে সোনাভান বেগম সুমি তার মেয়ের সাথে আমার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে সময় আমি তার পরিবার সম্পর্কে খোজ নিলে অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত জানতে পেরে বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখান করি।
ফলে মা ও মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি ইট, সিমেন্ট, বালু সরবরাহের ব্যবসা করি, গত ১৬ মার্চ সকালে ০১৭২১০৩৩৭৬৮ নাম্বার থেকে ফোন করে ঠিকাদার পরিচয়ে ইট-বালু কিনবে বলে পতœীতলা-বদলগাছী সড়কের নোধনী মোড়ে ডেকে নিয়ে কৌশলে মাইক্রোতে উঠায়। মাইক্রোটি ছাড়ার সাথে সাথে বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলার মাস্টার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে রনি (২৯), নওগাঁ সদর উপজেলার শেকপুরা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে বাহাদুর (২৫) ও বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলার কুন্ডু পাড়া এলাকার বজলার হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই (৩৫) গলায় ছোড়া (চাকু) ধরে চিৎকার করতে নিষেধ করে এবং চোখ বেঁধে ফেলে।
প্রায় দেড় ঘন্টা মাইক্রো চালাইয়া অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে ঘরে আটকে রাখে। চোখ খুলে দিলে সুরাইয়া শারমিন ও তার মা কে দেখতে পায়। তারা ১৫লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। অন্যথায় সুরাইয়া শারমিনের সাথে উলঙ্গ করে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেরে দিবে এবং খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। মুক্তিপনের টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারপিট করে ও আমাকে উলঙ্গ করে সুরাইয়া শারমিনের ফোনে ছবি তোলে, ১’শ টাকার তিনটি ফাঁকা নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প এবং নীল কাগজের একটি ফাঁকা রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর করে নেয়।
আমার কাছে থাকা মোবাইল, ঘড়ি, আংটি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা মাইক্রোতে উঠাইয়া নওগাঁ জেলা সদরের অন্তর্গত মেসার্স গণি ফিলিং স্টেশনের পূর্ব দিকে কালভাটের পাশে হাত, পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ফেলে দিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় গত ১৮ এপ্রিল পতœীতলা থানায় মামলা করেছি। মামলা নং-২৬। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা আড়াল ও মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া এফিডেফিট, কাবিননামা তৈরি করে সম্প্রতি বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ সুরাইয়া শারমিন বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে গত ২০আগষ্ট দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় “আদমদীঘিতে যৌতুক দাবিতে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর সংবাদে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ায় আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে এহেন গর্হিত সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সুরাইয়া শারমিন ও তার সহযোগিরা ওইসব ফাঁকা স্ট্যাম্প ব্যবহার করে একাধিক মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগে আমাকে জড়ানোর পায়তারা করছে এবং বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত ও সমাধান কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন