গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বিচার হতে হবে
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে দেশটির সেনাপ্রধান ও অপর পাঁচ শীর্ষ সেনা কমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার জাতিসংঘের তদন্তকারীরা এ আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের নেত্রী অংসান সুচির বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধাপরাধ সংগঠন থেকে বিরত রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় বিদ্বেষমূলক প্রচার উস্কে দেয়া এবং অপরাধের আলামত নষ্ট করার মতো কাজ করেছে তার সরকার।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন -পীড়ন-নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
আর এ গণহত্যার অভিযোগে দেশটির সেনাপ্রধান ও পাঁচ শীর্ষ সেনা কমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
উত্তর রাখাইনের এ গণহত্যার জন্য দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংনহ শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদের অবশ্যই তদন্তের আওতায় এনে বিচার করা উচিৎ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত ফ্যাক্ট -ফাইন্ডিং মিশন।
একই সঙ্গে রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্যও একই পদক্ষেপ চেয়েছে মিশন। তদন্তের যৌক্তিকতা ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য যথষ্ট তথ্য রয়েছে বলেও মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বরং রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাব দিচ্ছে বলে দাবি করছে তারা।