আশুলিয়ায় ভিন্ন নামে সক্রিয় এমএলএম প্রতারকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া:
মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের নামে আশুলিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে নিচ্ছে ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রিনিক্স (ফিউচার টাচ্) নামের এক কোম্পনী। ভিন্ন ভিন্ন নামে আশুলিয়ায় আরো অনেক কোম্পানী আছে, এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় এই সমস্থ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু থেমে নেই এই প্রতারনা। জামিনে বেরিয়েই ভিন্নি ভিন্ন নামে তাদের এই প্রতারনা মূলক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিছু ইলেক্টোনিক্স পণ্য বিক্রির নামে আবারো তারা সাধারণ মানুয়ের সাথে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে, আকর্ষনীয় বেতন, উচ্চতর কমিশন, বিদেশ ভ্রমনসহ নানা সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। শুধুকি তাই, বলা হচ্ছে এই সকল প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে অবসর প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সৈনিক দ্বারা। যাতে করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে সুবিধা হয়।
আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার সংলগ্ন ওয়ালটন প্লাজার ২য় ও ৩য় তলা ভাড়া নিয়ে জাকজমক পূর্ণ সাজ সজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে তাদের অফিস।
প্রত্যেক মাসেই একাধিক সেমিনার ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অফিসে চেয়ারম্যান ও ম্যানজারসহ অসংখ্য কর্মকর্তাও আছেন। এরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। শুধু তাই নয় এদের কে গ্রুপ ভিত্তিক ভাগ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ৩০ দিনেই সফলতার গাইড। যেখানে শিখানো হয়ে প্রতারনার সকল কলাকৌশল।
এ ব্যাপারে ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রিনিক্স (ফিউচার টাচ্) এর চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর হোসেন এমএলএম এর কথা অস্বীকার করলেও প্যাকেজ আকারে পণ্য বিক্রয়ে কমিশনের কথা অপকটে স্বীকার করেন, এ সময় তার ফিউচার টাচ্ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ও আটকের বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, এখন কোন মামলা নেই। আগের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিলুপ্ত হওয়া ডেসটিনিতে কাজ করার ব্যাপারটাও স্বীকার করেন তিনি।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রোনিক্স এর চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর হোসেন একজন বিলুপ্ত ঘোষিত ডেসটিনী প্রতারক হিসেবে পরিচিত। বিলুপ্ত মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এর খোলস পাল্টে ফাহিম বেষ্ট ইলেক্ট্রোনিক্স নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তাদের লক্ষ প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া। এই প্রতারক চক্রটির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য যুবক-যুবতী। রহস্যজনক কারণে প্রতারক চক্রের প্রতি প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।
আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন) মনিরুল হক ডাবলু বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হলেও এ পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।