মুন্সীগঞ্জ সরকারী কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিটে শিক্ষক সংকট শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে স্থবিরতা
রুবেল মাদবর, মুন্সীগঞ্জঃ
মুন্সীগঞ্জের সরকারী স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউট শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, স্থবিরতা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউট ঘুরে জানা গেছে, ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউটে প্রায় ১ হাজার ৬শ’ ৩০জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। এ বছরে (এসএসসি) পাশের হার ৯৭.৬৫% থাকলেও বিগত বছরের চাইতে অ+ এর সংখ্যা দিন দিন কমেছে। এর বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সংকট।
কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউটে ৫২টি পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ সহ ২২টি পদ শূণ্য রয়েছে। এর ফলে ছাত্রদের ঠিকমতো ক্লাশ নেওয়া হচ্ছে না। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় শিক্ষাক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এক বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে অন্য বিষয় পড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই পড়াশোনাও স্থবির হয়ে পড়ছে। যার ফল স্বরূপ ফলাফল খারাপ হচ্ছে। গনিত শিক্ষক ও বিজ্ঞান শিক্ষক না থাকায় অন্যান্য শিক্ষক দিয়ে গনিত ও বিজ্ঞান ক্লাশ চালিয়ে নিচ্ছেন। এর ফরে ভালো ফলাফলের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। ফলাফলের বিপর্যয়ের কারণে সচেতন অভিভাবকরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী ৫২টি পদের মধ্যে ২২টি পদ শূণ্য রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদও রয়েছে ফাঁকা। বাংলা ৮টি পদের মধ্যে ৭টি পদ শূণ্য রয়েছে। এছাড়া ইংরেজি ৮টির মধ্যে ২টি, গনিত ৬টির মধ্যে ১টি, সামাজিক বিজ্ঞান ৬টির মধ্যে ২টি, ইসলাম শিক্ষা ৪টির মধ্যে ১টি, ভৌত বিজ্ঞান ৪টির মধ্যে ৩টি, জীব বিজ্ঞান ৪টির মধ্যে ৩টি, ভূগোল ২টির মধ্যে ১টি এবং চারকলা ২টির মধ্যে ১টি পদ খালি রয়েছে প্রায় কয়েক বছর ধরে।
এক সময় কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউট মুন্সীগঞ্জের নামকরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন এই বিদ্যালয় ফলাফলের দিক থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার সুনাম ধরে রাখতে পারছে না। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষক সংকটের কারণেই এ ফলাফল হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউট এর র্শিক্ষক সংকট নিয়ে কথা হয় অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মনসুর রহমান খানের সাথে। সে দৈনিক নাগরিক সময়য়ের প্রতিবেদকে জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে। আমরা ডিজির বরাবর একাধিক বার শিক্ষক সংকটের কথা জানিয়েছি। তবে ৩৫তম বিসিএস থেকে (পিএসসি)র’ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের ৬জন নন-ক্যাডার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। তারা আগামী ৩ সেপ্টেম্বর কে. কে. গভ. ইনিষ্টিটিউটে যোগদান করবে বলে জানান তিনি। এদের মধ্যে ভৌত বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, গনিত সহ ইংরেজিও রযেছে।
নিতি আরো জানান, পদ অনুযায়ী শিক্ষক না থাকায় অন্যান্য শিক্ষক দিয়ে গনিত ও বিজ্ঞান কøাশ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।