কালিয়ায় হাতকড়া নিয়ে আসামির পলায়নের ঘটনায় ৪০ জনকে আসামি করে মামলা আটক ১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলের কালিয়ায় আসামী আটক করতে গিয়ে মহিলাদের হামলায় পুলিশ কনেষ্টবল আহত হওয়াসহ হাতকড়া নিয়ে আসামির পলায়নের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। কালিয়া থানার এস আই সবুর হোসেন বাদি হয়ে ৪০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। ওই ঘটনায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। তবে গত দু’দিনেও পুলিশ পালিয়ে যাওয়া আসামি লিকুকে গ্রেফতার বা হাতকড়া উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আমতলা গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জান্নাত গ্রæপ ও হান্নান গ্রæপের মধ্যে ২৮ আগষ্ট সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের করে দুই পক্ষ। ২৯ আগষ্ট দায়েরকৃত কালিয়া থানার ১৮ নম্বর মামলার পলাতক আসামি লিকু শেখকে ধরতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার এস আই মো. সবুর হোসেন ও কনেষ্টবল মো. শাহীনুল হক গত ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে লিকুর বাড়িতে অভিয়ান চালিয়ে তাকে আটক করলে আসামিপক্ষ লিকুকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা এবং ধস্তাধস্তি করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পড়ে গিয়ে কনেষ্টবল শাহীন আহত হয়। পুলিশের হাত থেকে আটক লিকু শেখ পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় এস আই মো. সবুর হোসেন হাতকড়াসহ পলাতক লিকুসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রোববার রাতে নড়াইল জেলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ফুলদাহ গ্রামের সুরত খানের ছেলে জামাল খান (৪০) ও আমতলা গ্রামের ছালাম মোল্যার ছেলে আলম মোল্যাসহ (৪৫) ১২ জনকে আটক করেছে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ শমশের আলী মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার এজাহার নামীয় ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।