আকাশবীণার যাত্রা শুরু আগামীকাল
বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামীকাল (৫ সেপ্টেম্বর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নাম ' আকাশবীণা উড়োজাহাজটি'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিমান দিয়ে শুরুতে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। তবে, মধ্যপ্রাচ্য বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে অক্টোবর থেকে দোহা ও কুয়েতে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চতুর্থ প্রজন্মের, সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধার উড়োজাহাজ, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বাংলাদেশ বিমানের বহরে সংযুক্ত হয়, গত ১৯ আগস্ট। যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ও সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শেষে আগামীকাল বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আকাশবীণা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় ২৭১জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার। তবে এক মাস সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরে রুটে চললেও পরে মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় দুটি গন্তব্যে ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট চালাবে বিমান। নভেম্বরে দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার আসলে ঢাকা লন্ডন রুটে আরো দুটি ফ্লাইট বাড়ানো হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, 'উড়োজাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়মিত চলবে প্রতিদিন ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর এবং ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর রুটে। আর ১৬ অক্টোবর থেকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দোহা ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়েতে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এছাড়া আমাদের সবচেয়ে লম্বা যে রুটটি রয়েছে, ঢাকা থেকে লন্ডন, এই রুটে আগামী ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহে ছ'টি ফ্লাইট পরিচালনা করবো ড্রিমলাইনার দিয়ে।'
এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ড্রিমলাইনার বিমানের ইমেজ বাড়ালেও মুনাফা করতে হলে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখার পাশাপাশি আসন ফাঁকা থাকা রোধে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ বিমানের সাবকে পরিচালক নাফিস ইমতিয়াউদ্দীন বলেন, 'অভিযোগ আছে, সিট রিজার্ভেশন করতে গেলে বলে সিট খালি নেই। অথচ ফ্লাইটের সময় দেখা যায় ষাট ভাগ সিট ভরেছে বাকি সব খালি। ড্রিমলাইনার নিয়ে আসলাম আর বিমান লাভজনক হয়ে গেলো তা কিন্তু হবে না। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।'
বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নভেম্বরে একটি , ২০১৯'র সেপ্টেম্বরে আরো দুটিসহ মোট চারটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে। অত্যাধুনিক চারটি ড্রিমলাইনার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে বিমান।