‘সৌদিতে নিহত সন্তানের লাশ আনতে ভিক্ষা করছেন মা
‘সৌদিতে নিহত সন্তানের লাশ আনতে ভিক্ষা করছেন মা’ এই শিরোনামে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৪ জুলাই সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মাগুরার শাহ আলমের লাশ দেশে আনা হচ্ছে।
সরকারি খরচে বুধবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৪০৩৪ এর একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে তার লাশ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের শ্রম কল্যাণ উইং থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শাহ আলম মহম্মদপুর উপজেলার দেউলি গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সায়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
শাহ আলম ছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় নিহত আরও তিনজনের লাশ সরকারি খরচে একই ফ্লাইটে দেশে আনা হচ্ছে। তারা হলেন- নড়াইল সদরের মহিসওলা গ্রামের মোহসিন হোসাইনের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম, একই জেলার লোহাগড়া উপজেলার হাহড়ীয়া গ্রামের সৈয়দ আশরাফ আলীর ছেলে সৈয়দ হোসেন আলী ও যশোর সদরের বারান্দিপাড়া গ্রামের মো. হায়দার আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল।
প্রসঙ্গত, নিহত শাহ আলমের মা হুরিয়া বেগম সন্তানের লাশ আনার টাকা জোগাড় করতে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা শুরু করেন। গত ২৪ জুলাই এমন খবর যুগান্তরে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
ওইদিন শাহ আলমের পরিবারকে তাদের সন্তানের লাশ সরকারি ব্যবস্থায় দেশে আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহকারী পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) জাহিদ আনোয়ার।
পরে গত ২৬ জুলাই ও ২ আগস্ট ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড পৃথকভাবে নিহত শাহ আলমের জন্য ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮২ টাকা ও নিহত মনিরুল, সৈয়দ হোসেন এবং সাইফুলের লাশ দেশে আনার জন্য ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৬ টাকা অনুমোদন দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সৌদি আরবের জেদ্দায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত হন। এদের মধ্যে চারজনের লাশ সরকারিভাবে বুধবার দেশে আনা হচ্ছে। অপরজনের লাশ তার পরিবারের ইচ্ছায় সৌদিতেই দাফন করা হয়েছে।