কুষ্টিয়ার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের বিকল্প পাম্প হাউজ ৫ বছর ধরে অকেজো
সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর অকেজো পড়ে আছে কুষ্টিয়ার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের বিকল্প পাম্প হাউজ। এর ফলে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের মূল পাম্প কোন কারণে বন্ধ হয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে ৪ জেলার কৃষি আবাদ। ফসলের ক্ষেতে চাহিদা মত পানি পেতে পাম্প হাউজটি পুনরায় চালু করার দাবি কৃষকদের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিপোর্ট পাবার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে পাম্প হাউজটি সচল করার আশ্বাস দিয়েছেন জিকে পাম্প হাউজের কর্মকর্তা।
ফসলের মাঠে চাহিদা মতো পানির ব্যবস্থা করতে, গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায়, ১৯৬২ সালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নির্মাণ করা হয় জিকে সেচ পাম্পের বিকল্প পাম্প হাউজ। মূল পাম্পে কোন সমস্যা দেখা দিলে, এই পাম্পের মাধ্যমে সেচ চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ২০০৩ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এই বিকল্প পাম্প হাউজটি। এর প্রভাবে শুস্ক মৌসুমে পদ্মার পানির লেয়ার কমে গেলে বাধ্য হয়ে সেচ কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এতে বিপাকে পড়েন কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহের ১৩ টি উপজেলায় কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন, 'সারাবছর পানি পেলে বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করা যায়। আর বিঘা প্রতি ১২-১৩ মণ ধান পাওয়া যায়। আর পানি না পেলে বিঘা প্রতি ৬ মণ ধান পাওয়া যায়।'
অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাম্প হাউজটি চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন জিকে পাম্প হাউজের কুষ্টিয়া জিকে পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'জিকে পাম্প আধুনিকায়ন করার জন্য এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ১২ সেচ প্রকল্প করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।'
কুষ্টিয়া জিকে পাম্প হাউজের তথ্য মতে, বিকল্প পাম্প হাউজটি চালু হলে শুস্ক মৌসুমে পদ্মা নদী থেকে প্রতি সেকেন্ড ১৫শ' কিউসেক পানি উত্তোলন করে সেচ কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।