ডেনিম পণ্য রপ্তানিতে কয়েক বছর ধরে শীর্ষস্থানে রয়েছে ইউরোপের বাজারে
ইউরোপের বাজারে ডেনিম পণ্য রপ্তানিতে কয়েক বছর ধরে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে, এই বাজার হারাচ্ছে চীন। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তনশীল ডেনিমের বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে বাড়াতে হবে গবেষণা, মনোযোগ দিতে হবে উন্নতমানের কাঁচামাল ও নিত্য নতুন পণ্য তৈরিতে; আর নিশ্চিত করতে হবে জ্বালানি সরবরাহ। ব্যবসায়ীদের এসব প্রয়োজনের সাথে একমত অর্থনীতিবিদরাও। সেই সঙ্গে এখাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ তাদের।
পরনে স্বাচ্ছন্দ্য আর ফ্যাশনে বৈচিত্র্যময়টা, এই দুইয়ের মিশেলে পোশাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে ডেনিম পণ্যে। আর এই পরিবর্তনের হাওয়া সবচেয়ে বেশি বদল হয় ইউরোপের বাজারে। পোশাকের সবচেয়ে বড় এই বাজার ধরতে যখন মরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, তখন এই অঞ্চলের ফ্যাশন সচেতন ক্রেতাদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের ডেনিম পণ্য।
গেল কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইউরোপের বাজারে ডেনিম পণ্য রপ্তানিকারক প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২য়, ৩য় স্থানে তুরস্ক ও পাকিস্তান। ৪র্থ অবস্থানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন। আর নামমাত্র রপ্তানি নিয়ে তালিকার ৯ম ও ১০ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ভারত।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের পিছনে রয়েছে প্রযুক্তির মিশ্রণ, পোশাকের মান আর শ্রমিকদের দক্ষতা। তবে, মনোযোগ বাড়াতে হবে উন্নতমানের সূতা তৈরিতে।
ডেনিম এক্সপার্ট লি. পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, 'ডেনিমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিন্তু অনেক বেশি ডেভলপ করেছে। দিন দিন আমরা অনেক বেশি শক্ত হচ্ছি, এবং লোকজন দক্ষতা অনেক বেড়ে যাচ্ছে।'
আর রুচির পরিবর্তনকে পুঁজি করে এই ব্যবসার পরিধি বাড়াতে, বাড়াতে হবে গবেষণার পরিসর; এই পরামর্শ ব্যবসায়ীদের সংগঠন-বিজিএমইএ'র।
বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি মো. নাসির বলেন, আমরা যেন আরো বেশি বেশি এক্সপোর্ট করতে পারি ডেনিমের ওপর। যত বৈচিত্রময় হবে তত চাহিদা বাড়বে।'
সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম বলেন, 'বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি আর বিশ্ববাজারের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রেখে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।'
বর্তমানে ইউরোপের বাজারে মোট ডেনিম পণ্যের চারভাগের একভাগের বেশি যোগান দেয় বাংলাদেশের পোশাক খাত।