গাংনীর হিন্দা গ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ধর্ষক একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তাহাজ উদ্দিন।
সে এর আগেও এলাকার কয়েকটি মেয়েকে ধর্ষন ও ধর্ষনের চেষ্টা করেছে বলে জানা যায়। ৬ মাস আগে ধর্ষন মামলায় সে জামিন লাভ করে। এলাকাবাসি জানায়, লম্পট ও ধর্ষক তাহাজ উদ্দিনের স্বভাব এ ধরণের ন্যাক্কার জনক কাজ করা।
এ ধরনের ঘৃনিত কাজ করে আবার জেল থেকে জামিনে ফিরে আসে আবার সে একই কাজ করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তোভোগি ধর্ষনের শিকার ঐ ছাত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, আমার সাথে তাহাজের মেয়ে নাজমার সাথে লেখা পড়া করি।
ঘটনার দিন বিকেলে খেলা শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় সে আমাকে বলে তোমার বান্ধবি নাজমা ডাকছে বলে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। না যেতে চাইলে সে জোর করে টেনে নিয়ে যায়। এবং ঘরে আটকিয়ে জোর করে মুখ চেপে ধরে এবং হুমকি দেয় ও আমাকে সে খারাপ (ধর্ষন) করে। এদিকে এ ঘটনা ঘটার পর সে তার পরিবার নিয়ে পলাতক রয়েছে বলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।
ধর্ষকের মা তার কু সন্তানকে এলাকার জনতার হতে তুলে দিয়ে ন্যায্য বিচার যাতে হয় তাতে তিনি একমত পোষন করেছেন। এদিকে এলাকাবাসি ধর্ষক তাহাজ উদ্দিনের উপযুক্ত শাস্তির জন্য ফুসে উঠেছে। এলাকাবাসি জানান, এর আগেও কয়েকটি মেয়ের সাথে সে এমন ঘৃনিত কাজ করেছে অনেকে সম্মানের ভয়ে কিছু বলেনি আবার স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সে জামিনে মুক্তি পেয়ে একই ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটালো। এলাকাবাসি ঐ লম্পট তাহাজ উদ্দিনের দৃষ্টান্ত মুলোক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে হিন্দা ক্যাম্পের এ এস আই মোহাম্মদ আলি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলোক শাস্তির আশ্বাস দেন। গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, অভিযোগ করলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।