আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি এবিএস আবদুস সামাদ আর নেই
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি বীর মুক্তিযোদ্ধা করপোরাল এম এ সামাদ মৃধা আর নেই।
আজ রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টায় জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহী!..রাজিউন)
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি এক সন্তান ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ইতিহাসের এই বরেণ্য ব্যক্তি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কাছিছিড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
এম এ সামাদ বিমান বাহিনীতে কর্পোরাল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বার্ধক্য ও হৃদরোগজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
১৯৬৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' দায়ের কর করা হয়েছিলো। ওই মামলার আট নম্বর আসামী ছিলেন করপোরাল আবদুস সামাদ। তখন মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, শেখ মুজিব ও অন্যান্যরা ভারতের সাথে মিলে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই মামলাটির পূর্ণ নাম ছিল রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবর রহমান গং মামলা। তবে এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসাবেই বেশি পরিচিত, কারণ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল যে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কথিত ষড়যন্ত্রটি শুরু হয়েছিল।