সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পুলিশের অভিযানে পর্ণোবাহী কম্পিউটারসহ আটক ৭জন কে আটক করেছে। এ উপজেলায় র্দীঘ দিন ধরেই প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা। স্থানীয় এলাকাবাসীর এই অভিযোগের বিত্তিত্বে বুধবার (১৯সেপ্টেম্ভর) বিকালে দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস এর নেতৃত্বে ও এসআই রাজিব দত্ত,হাবিবুর রহমান,মঞ্জুরুল হক,ডিএসবি এসআই বদরুল আলম,এএসআই শিবলু মজুমদার, আব্দুর রাজ্জাক এর সহযোগীতায় বিশেষ অভিযানে নীল ছবি সম্বলিত ৫টি কম্পিউটার,১টি ল্যাবটব,২টি হার্ডডিক্সসহ ৭জনকে আটক করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন উপজেলার নরসিংপুর বাজারের ব্যবসায়ী রউফ ট্রেডাসের মালিক সোনাইত্যা গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র আব্দুর রউফ(২৩),রহিমের পাড়া নিবাসী মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম(২২),আরিফ টেলিকমের মালিক নরসিংপুর গ্রামের মৃত আব্দুর ছাত্তারের পুত্র ফরহাদ আলম(২৮),মাদার টেলিকমের মালিক কালাপুশী গ্রামের সফিকুল ইসলামের পুত্র কামরুল ইসলাম(২৩),নোমান টেলিকমের মালিক নরসিংপুর গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র তোফাজ্জল হক লিমন(২৩),হারুন টেলিকমের মালিক দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র হারুন মিয়া(২২),ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল মোতালিবের পুত্র মোঃ মারুফ (২৬)। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,জেলার দোয়ারাবাজারে মোবাইলে মেমোরি ডাউন লোডের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা।
যে কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের সন্তানদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে অভিভাবক মহল। দেশের অবৈধ এ পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র মোবাইলের মেমোরিতে ধারণ ও বিপনণ ব্যবসা প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটি আইন থাকলেও সরকারের প্রনীত এ আইনের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন করে উপজেলার কম্পিউটারের দোকান থেকে দেদাচ্ছে চালানো হচ্ছে অবৈধ অশ্লীল ভিডিও চিত্রের লোড কার্যক্রম। দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর বাজার,বাংলাবাজার,বগুলাবাজার,মহব্বতপুরবাজার,পশ্চিম বাংলাবাজার,চকবাজার,টেংরাবাজার,টেবলাইবাজার,বালিউড়াবাজার,চাইরগাওবাজার,নাছিমপুর বাজার,আমবাড়ী বাজার,শ্রীপুর পান্ডারগাও নতুন বাজার,মঙ্গলপুর বাজার,দোহালিয়া বাজারসহ প্রতিটি বাজার,রাস্থার মোড়ে গড়ে উঠেছে কম্পিউটারে মেমোরি ডাউন লোডের দোকান। যেখানে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর ফলে শব্দ দুষনে সুধী সমাজের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত বিরম্বনায় পড়তে হয়।
এ ছাড়াও অনুসন্ধানে জানা গেছে,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,দিরাই,শাল্লা,জগন্নাথপুর,দক্ষিন সুনামগঞ্জ,বিশ্বম্ভরপুরসহ ১১টি উপজেলার বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে দিন রাত প্রকাশ্যেই মেমোরি লোড ও সিডি,ডিভিডি রাইটিং কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের জন্য ক্ষতিকর নীল ছবির জমজমাট ব্যবসা চলছে। মাত্র ১০/১৫ টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই এসব পর্নো ছবি লোড করতে পারায় দোকান গুলোতে উঠতি বয়সের যুবক ও ছাত্রদের ভীড় লেগেই থাকে।
ফলে সমাজের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ মোবাইলের মধ্যে পর্নো ছবি লোড করে দেখছে। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। অপরদিকে স্কুল চলাকালে বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার দোকান গুলোতে নীল ছবি দেখানো হচ্ছে। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্নোগ্রাফির দিকে আসক্ত হচ্ছে। জেলার সচেতন অভিভাবকগণ মনে করছেন অবৈধ এ পর্নো ছবি ব্যবসার ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোর সকল কম্পিউটার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জব্দ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নয়তো দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাবে তাদের সন্তানদের জীবন। দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস বলেন,উপজেলার নরসিংপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে নীলছবি সম্বলিত কম্পিউটার ল্যাবটব,হারডডিক্সসহ ৭জনকে আটক করেছি তাদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।