‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। পরে এক ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি; আপনারা শুনেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি বলা হয় সেইটাই বোঝানো হয়েছে। তিনি যেহেতু আমাদের অবহেলিত সেক্টরে উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী… তিনি নিজের নামটা ব্যবহার করেননি। মাদার অব হিউম্যানিটি নামে পদক দেওয়া হবে।
অন্যান্য পুরস্কার নীতিমালার মতোই এ পুরস্কারের নীতিমালা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পাঁচটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হবে। বয়স্কা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা মহিলাদের কল্যাণ ও পুর্নবাসনে অবদান; প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি; প্রতিবন্ধী ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান; সুবিধাবঞ্চিত আইনের সংস্পর্শে আসা আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, কারামুক্ত কয়েদি, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুন-একত্রীকরণ এবং কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমন কোন কর্ম যা সমাজের মানুষের মেধা ও মননের বিকাশ, জীবনমান ও পরিবেশের উন্নয়ন, সমাজবদ্ধ শারীরিক ও মানসিক স্বাথ্যের উন্নয়ন ও সর্বপরি মানবকল্যাণ ও মানবতাবোধে সমাজ বা রাষ্ট্রকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করার কার্যক্রমে অবদানের জন্য পদক দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ পাঁচটি সেক্টরে সমাজকল্যাণ পদক দেওয়া হবে পাঁচ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিবছর ২ জানুয়ারি সমাজকল্যাণ দিবসে পদক দেওয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি এখন থেকে জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও জানান তিনি। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।