নিহতের তিন মাস পর আলোচিত জেবিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
এ.এম. উবায়েদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশ অফিসার স্বামীর হাতে নিহত কিশোরগঞ্জের মেয়ে আয়েশা আক্তার জেবিনের (৩২) লাশ পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের নির্বাহী কমিশনার সাগুফতা হক এবং তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের কালীহাতি থানার এস আই মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
লাশ উত্তোলনের সময় জেবিনের বাবা মুর্শেদ মিয়া ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লাশ উত্তোলনের পর ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। গত ৪ নভেম্বর টাঙ্গাইলের সংশ্লিষ্ট আমলী আদালতের সিনিয়র জুুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নওরিন মাহবুবা নিহত জেবিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত কালীহাতি থানার এসআই হামিদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার সোহরাব আলীর ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৭ মে হামিদুল ইসলাম জেবিনকে বিয়ে করে। বিয়ের তিন মাস তের দিনের ব্যবধানে এস আই হামিদুল যৌতুক দিতে না পারায় জেবিনকে হত্যা করে আতœহত্যা বলে প্রচার করে।
২৭শে আগষ্ট নিহত জেবিনের বাবা মুর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে এসএই হামিদুল ইসলাম, তার ডিভোর্সপ্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী সাবিকুন্নাহার ও বোন শিরিন আক্তারকে আসামী করে কালিহাতি থানায় মামলা দায়ের করেন।