সিডরের ১১ বছর পর ফিরে আসা জেলে মানসিক ভারসাম্যহীনমুন্সিগঞ্জের রুবেল প্রকৃত শহিদুল নয়
সিডরের ১১ বছর পর ফিরে আসা জেলে মানসিক ভারসাম্যহীনমুন্সিগঞ্জের রুবেল প্রকৃত শহিদুল নয়
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটেরশরণখোলায় সিডরের ১১বছর পর ফিরে আসা জেলে শহিদুল প্রকৃত শহীদুল নয়। সে আসলে মানষিক ভারসাম্যহীন জুয়েল সরদার। শুক্রবার রাতে তাকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও ছবি দেখে মঙ্গলবার রাতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে একটি পরিবার তাকে জুয়েল সরদার দাবি করে। দুই পরিবারই বলছে তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজন।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রাম থেকে আসা পরিবারকে মানষিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির মুখোমুখি করা হলে এইতো তাঁদের হারিয়ে যাওয়া জুয়েল বলে হাউমাউ করতে থাকেন। হাসি বেগম (৪০) বলেন, এই-ই হলো আমার হারিয়ে যাওয়া স্বামী জুয়েল। বাবা আমীন সরদার (৭০) বলেন, এই আমার ছেলে তাতে কোনো ভুল নেই। ছেলে শামীমও (২০) তার বাবা বলে নিশ্চিৎ হন। তাঁরা বলেন, জুয়েল ৮-৯ বছর আগে মাথা খারাপ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এর পর তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
এ অবস্থায় খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, স্থানীয় সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিগণ শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে সিডরের ১১ বছর পর গত ১২ নভেম্বর আমড়াগাছিয়া বাজারে মানষিক ভারসাম্যহীন ঘোরাফেরা অবস্থায় পাওয়া অবিকল শহিদুলের শারীরিক গঠন, চেহারা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা দাগসহ নানা দিক দিয়েই রুবেল সরদারের সাথে মিল খুঁজে পেলেও সে আসলে রুবেল সরদার বলে সবাই নিশ্চিত হন। অপরদিকে, কথিত শহিদুলের মা ময়মননেছা বিবি (৬৫) তাঁর সন্তান বলে দাবি করছেন। আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীও বলছে এ সিডরে হারিয়ে যাওয়া শহিদুল।