টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরন, গাড়ি ভাংচুর, পুলিশসহ আহত ১০
রুবেল মাদবর ,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহার মনোনয়পত্র জমা দানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। বুধবার দুপুরে টঙ্গীবাড়ী বাজারে এলাকায় পুলিশের উপস্থিতেই এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়। হাফিজুল ইসলাম (৩৫) কে আহত অবস্থায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ কমপেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করেছে। সরজমিনে জানাযায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী আজগর রিপন মল্লিকের সাথে প‚র্ব থেকে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিলো। মুন্সীগঞ্জ ২ (টঙ্গীবাড়ী-লৌহজং) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটি কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজনুর রহমান সিনহা এবং কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ এর নাম ঘোষনা করে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড ।
প‚র্বে রিপন মল্লিক মিজান সিনহার পক্ষ হয়ে কাজ করলেও প্রায় ২ বছর আগে বিএনপির মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন নিয়ে রিপন মল্লিকের সাথে মিজান সিনহার দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর পর থেকেই রিপন মল্লিক আব্দুস সামাদ আজাদের পক্ষ অবলম্বন করে আসছে। বুধবার দুপুর ১২টায় দিকে মিজান সিনহা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসাবে টঙ্গীবাড়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসে। এ খবরে প‚র্বে থেকেই টঙ্গীবাড়ী বাজার জড়ো হওয়া কয়েক শতাধিক রিপন মল্লিক সমর্থক মিজান সিনহার সাথে আসা গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি পেটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ।
এ সময় ল্যান্ড ক্রোসার মডেলের একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের দুই সদস্যসহ ১০জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তার মোল্লা ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রোকোনুজ্জান রিগ্যান শিকদারসহ ১৫জনকে আটক করে। আটককৃত অন্যান্যরা হলেন, শাহাদাত, আমির হোসেন, বিপব, জনি, এরশাদ, মিজানুর, শহীদ প্রম‚খ। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, বিএনপির মিজান সিনহা গ্রুপ এবং আব্দুস সামাদ আজাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আব্দুস সামাদ আজাদ গ্রুপের পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।